Pradip Mukherjee Passes Away: জন অরণ্য ছেড়ে চিরতরে চলে গেলেন প্রদীপ মুখোপাধ্যায়
Pradip Mukherjee: সত্যজিৎ রায় থেকে বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, অপর্ণা সেন থেকে ঋতুপর্ণ ঘোষ-- অনেকের ছবিতেই অভিনয় করেছেন প্রদীপ মুখোপাধ্যায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কদিন ধরে গুরুতর অসুস্থই ছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। সোমবার প্রয়াত হলেন এই অভিনেতা। ভর্তি ছিলেন গোরাবাজার মিউনিসিপ্যালিটি হাসপাতালের উপরের বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই আজ, সোমবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে প্রয়াত হন। জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ফুসফুসে সংক্রমণের পাশাপাশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন ৭৬ বছর বয়সী এই অভিনেতা। এ ছাড়াও রক্তে বেড়েছিল বিষক্রিয়া। অসুস্থতা বাড়তেই তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। দমদম ক্যান্টনমেন্টের মিউনিসিপ্যাল হাসপাতালের বেসরকারি বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরপর দু'বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এই অভিনেতা। এই বছরের শুরুতেই দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রদীপ মুখোপাধ্যায় আর তারপর থেকেই শয্যাশায়ী ছিলেন। কিন্তু এর পরেও সুস্থ হয়ে শ্যুটিং ফ্লোরে ফিরেছিলেন তিনি। এবং শুটিং শেষও করেছিলেন। তার পরেই অসুস্থ হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Pradip Mukherjee: ফুসফুসে সংক্রমণ, ভেন্টিলেশনে বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায়
যদিও ধীরে ধীরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতিই ঘটছিল। শনিবার পর্যন্ত চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেনও তিনি। কিন্তু আর দিলেন না। দীর্ঘদিন ধরেই ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। মাঝে মাঝেই কার্বন জমে যেত তাঁর ফুসফুসে। পরিচালক নির্মল চক্রবর্তীর ছবি 'দত্তা'র শ্যুটিং করছিলেন প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। শ্যুটিং শেষও করেছিলেন কিন্তু বাকি থেকে গেছে ডাবিং পর্ব। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। প্রথমে তাঁকে ভর্তি করা হয় নাগেরবাজারের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে পরে তাঁকে ভর্তি করানো হয় দমদম ক্যান্টনমেন্টের মিউনিসিপ্যাল হাসপাতালের বেসরকারি বিভাগে। সেখানেই ভেন্টিনেশনে রাখা হয়েছিল।
সত্যজিৎ রায় থেকে বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, অপর্ণা সেন থেকে ঋতুপর্ণ ঘোষ-- অনেকের ছবিতেই অভিনয় করেছেন প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। 'জন অরণ্য' ছবিতে সোমনাথের চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন তিনি। 'অশ্লীলতার দায়ে', 'সতী', 'পুরুষোত্তম', 'হিরের আংটি'-র মতো একাধিক জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন। প্রদীপের দুই সন্তান। পুত্র-কন্যা দু'জনেই থাকেন দুবাইয়ে। মেয়ে অবশ্য রবিবারই সকালে কলকাতায় এসেছেন। তাঁর মৃত্য়ুতে কলকাতার অভিনয় জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল।