নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রয়াত পন্ডিত বিরজু মহারাজ (Pandit Birju Maharaj)। ৮৩ বছর বয়সে জীবনাবসান হয়েছে কিংবদন্তী কত্থক শিল্পীর (Kathak Maestro)। একাধারে নাচ, তবলা এবং কণ্ঠসঙ্গীতে সমান পারদর্শী ছিলেন বিরজু। আঁকতে পারতেন ছবিও। সেইসঙ্গে একাধিক ছবিতে কোরিওগ্রাফিও (Choreography) করেছেন বিরজু মহারাজ। 'দেবদাস'-এ মাধুরী দীক্ষিত থেকে 'বাজিরাও মস্তানি'-তে দীপিকা পাড়ুকোন, মহারাজজির কাছে নিখুঁত অধ্যাবস্যায়ে কত্থকের বোল তুলেছেন, কোরিওগ্রাফি রপ্ত করেছেন সবাই। তারপর পর্দায় ছড়িয়ে পড়েছে তাল-লয়-ছন্দের সেই জাদু। আর মন্ত্রমুগ্ধের মত তা চাক্ষুষ করেছেন দর্শককুল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিংবদন্তী কত্থক শিল্পীর প্রয়াণে ফিরে দেখা তাঁর অসামান্য কিছু সৃষ্টি:
'দিল তো পাগল হ্যায়'-তে কোনও গান নয়, শুধুমাত্র বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে কত্থক নেচে পর্দায় ঝড় তুলেছিলেন মাধুরী। হয়ে উঠেছিলেন 'মোহিনী'।


'গদর: এক প্রেম কথা'য় 'আন মিলো সজনা'



'দেবদাস'-এ 'কাহে ছেড় মোহে'



'বিশ্বরূপ'-এ 'ম্যায় রাধা তু শাম'



'বাজিরাও মস্তানি'-তে 'মোহে রং দো লাল'



'দেড় ইশকিয়া'-তে 'আপনে করার মে'



২০১২-তে 'বিশ্বরূপ' কোরিওগ্রাফির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন বিরজু মহারাজ। রবিশঙ্কর তাঁর নাচ দেখে বলেছিলেন, ‘তুমি তো লয়ের পুতুল’! এদিন বিরজু মহারাজের প্রয়াণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকস্তব্ধ আপামত ভারতবাসী। তাঁর লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী আজ 'অভিভাবকহীন'। তাঁর প্রয়াণে ভোজপুরী লোকসঙ্গীত শিল্পী মালিনী অবস্থী লিখেছেন, "আজ ভারতীয় সঙ্গীতের লয় থেমে গেল। সুর মৌন হয়ে গেল। ভাব শূন্য হয়ে গেল। বিরজু মহারাজ আর নেই। লখনউয়ের ডেউড়ি আজ শূন্য হয়ে গেল। মহারাজজি, সারা বিশ্বে কালিকাবিন্দাদিনজির গৌরবময় ঐতিহ্যের সুবাস ছড়িয়েছিলেন, অসীমে বিলীন হয়ে গেলেন। এ এক অপূরণীয় ক্ষতি। ওম শান্তি।" 


আরও পড়ুন, Shaoli Mitra Died: 'ফুলভারের প্রয়োজন নেই, সাধারণের অগোচরে' বাবার মতোই শান্তিতে যেতে চেয়েছিলেন 'নাথবতী'


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)