জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সুশান্ত সিং রাজপুতের(Sushant Singh Rajput) আচমকা মৃত্যুর পরেই রাতারাতি বদলে যায় সুশান্ত তৎকালীন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর(Rhea Chakraborty)। রাতারাতি তাঁকে নিয়ে শুরু হয় চর্চ্চা তাঁর বিরুদ্ধে ধেয়ে আসে একাধিক অভিযোগ। দাবি ওঠে তাঁর কারণেই আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ করেন সুশান্তের বাবা। গ্রেফতার হন রিয়া। এনসিবি তাঁর বিরুদ্ধে মাদক সেবনের ও সুশান্তকে মাদক সরবরাহের অভিযোগও আনেন। সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Abir Chatterjee: ‘...উদ্ধত শোনালে, আমি অপারগ’ নেটপাড়ায় কার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন আবীর?


তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় জেল থেকে ছাড়া পান রিয়া। তবে অনেকদিনই তিনি ক্যামেরা থেকে দূরে ছিলেন। বর্তমানে এমটিভি রোডিজ সিজন ১৯-এ মেন্টরের ভূমিকায় রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে রিয়া বলেন যে তাঁকে ডাইনি অপবাদ দেওয়ায় তিনি কিছু মনে করেননি। বরং এই নাম তাঁর পছ্ন্দ হয়।


রিয়া বলেন, 'চুড়েল বা ডাইনি নামটি আমার বেশ পছন্দের। এটা ভীষণই ইন্টারেস্টিং নাম। ডাইনি কাকে বলা হয়?  ডাইনি এমন একজন মহিলা যিনি কখনও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সদস্য হননি। আমার নিজস্ব মতামত পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে ছিল। হয়তো আমি সেই মানুষ, হয়তো আমি ডাইনি। হয়তো আমি জানি কীভাবে কালো জাদু করতে হয়'।



আরও পড়ুন- Shakib Khan: শেহনাজ বা প্রাচী নয়, বলিউডে শাকিবের নায়িকা সোনাল


তিনি কি সত্যিই মাদক সরবরাহ করতেন সুশান্তকে। এবিষয়েও রিয়া চক্রবর্তী বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাই না। আমি মাদক নিয়ে NCB নিয়ে এবং CBI নিয়ে কোনও কথা বলতে চাই না।’


জেলের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে রিয়া বলেন জেলে তিনি জীবনের চরম শিক্ষা পান। অভিনেত্রী বলেন, ‘জেল সহজ হতে পারে না। কারণ আপনাকে সমাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং আপনি আর তখন সমাজের অংশ নন। যে কারণেই হোক না কেন, সমাজে থাকার যোগ্য আপনি আর নন বলেই আপনাকে এই জায়গায় রাখা হয়েছে। আপনাকে অযোগ্য বলে মনে করা হয়। আপনি এখন আর মানুষ নন, নিজেকে এরকমই মনে হতে শুরু করে। আপনি একটি সংখ্যা, আপনাকে যেমন বলেছে সেভাবেই কাজ করেন’।


আরও পড়ুন- WATCH | Uorfi Javed: 'নগ্ন করে টাকা...' উর্ফির নিশানায় শিল্পার স্বামী! ভিডিয়ো সাড়া ফেলে দিল

অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘তোমাকে তোমার জীবনে সুখের কিছু মুহূর্ত দেওয়া হয়, সেগুলো কেড়ে নেওয়া হয়, জেল থেকে আমি সেটাই শিখেছি। মনে হয় আমি এটা ছিনিয়ে নিতে এসেছি। দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ হওয়াই ভারতের আইন ব্যবস্থার মূলমন্ত্র হওয়া উচিত’। রিয়ার মতে, "দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ, নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত দোষী নয়। আমার বিশ্বাস, ওই জেলে সব মহিলাই একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন এবং তাঁরাও আমার মতো নির্দোষ। তাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম, এদের কেউ কেউ অনেক বছর ধরে আছে। তাদের বেশির ভাগেরই আইনজীবীর সুযোগ নেই বা আমার মতো পারিবারিক সমর্থনও নেই’।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)