Rituparna Sengupta: `দেখতে পাচ্ছি বিমান দাঁড়িয়ে,৪০ মিনিট ধরে বাকবিতণ্ডা,বিমানে উঠতে দেওয়া হল না`, ঋতুপর্ণা
`আজ আমার এমারজেন্সিতে যে ব্যবহার আমি পেলাম,সময়ের আগে পৌঁছেও আমাকে বিমানে উঠতে দেওয়াই হল না।` বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ঋতুপর্ণা
নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার সকাল সকাল আহমেদাবাদের বিমান ধরতে বিমানবন্দরে হাজির হন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত(Rituparna Sengupta)। ভোরের বিমানের বোর্ডিং সময় ছিল ৪.৫৫ মিনিট। ঋতুপর্ণা এদিন সকালে বিমানবন্দরে পৌঁছান ৫.১২ মিনিটে। এর জেরেই এদিন নায়িকাকে বিমানে উঠতে দিল না একটি প্রথম সারির বিমান সংস্থা। এর জেরে মঙ্গলবার শুটিংয়ে পৌঁছতে পারলেন না অভিনেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হয়েছেন অভিনেতা।
ঋতুপর্ণা জানিয়েছেন যে,'বিগত কয়েকদিনে সাত থেকে আট বার ঐ বিমান সংস্থার বিমানে যাতায়াত করেছি। তাঁরা আমায় সম্মানীয় পাসপোর্টও দিয়েছে। যখনই তাঁদের বিমানে যাতায়াত করি তাঁদের স্টাফেরা আমার সঙ্গে ছবি তোলেন। কিন্তু আজ আমার এমারজেন্সিতে যে ব্যবহার আমি পেলাম,সময়ের আগে পৌঁছেও আমাকে বিমানে উঠতে দেওয়াই হল না।'আহমেদাবাদের মুলিতে ছিল ঋতুপর্ণার শুটিং। যেটা বিমানবন্দর থেকে যেতে প্রায় তিনঘণ্টা সময় লাগে। এদিন সকালে গেট নম্বর ১৯ হাজির হন অভিনেতা। তখনই তাঁকে জানানো হয় যে বোর্ডিং বন্ধ হয়ে গেছে। নিজের সিটও আগে থেকে বুক ছিল।
ঋতুপর্ণা জানান যে, 'আমি দেখতে পাচ্ছি যে বিমান দাঁড়িয়ে, তার সিঁড়িও সরানো হয়নি। ৫০ পা দূরত্বে দাঁড়িয়ে বিমান। কিন্তু চড়তে দেওয়া হল না। ৪০ মিনিট ধরে তাঁদের বোঝালাম, অনুরোধ করলাম, বাকবিতণ্ডা হল এমনকি কেঁদেও ফেলি। আমি না পৌঁছালে কত বড় ক্ষতি তাও বললাম কিন্তু কিছুই কর্ণপাত করল না। আমার একটা গোটা দিন নষ্ট হল। কমিটমেন্ট রাখতে পারলাম না। সারা এয়ারপোর্ট জুড়ে সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এমন দেখছে যেন সিনেমা চলছে। এখানেই আমার প্রশ্ন, ফ্লাইট ছাড়ার ২৫ মিনিট আগে পৌঁছেও কেন আমায় বিমানে উঠতে দেওয়া হল না? মানুষের সমস্যা থাকতেই পারে, সেটা কি কনসিডার করা যায় না? সময়ের আগে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার দাবি করে এই সংস্থা। যাত্রীদের ফেলে রেখে আগে পৌঁছে কী প্রমাণ করতে চায় তাঁরা? এই হেনস্থা আর সময় নষ্টের দায় কে নেবে?'
আরও পড়ুন: Alopecia Areata: অস্কারমঞ্চে স্মিথের 'চড় বিতর্কে'র নেপথ্যে স্ত্রীর অ্যালোপেশিয়া রোগ? কেন হয় এই অসুখ?