জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নন্দনে জায়গা পেল না জয়দীপ মুখার্জীর আগামী ছবি আকাশ অংশত মেঘলা। শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ ও রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন নন্দনে শো পেল না আকাশ অংশত মেঘলা, কী বলছেন ছবির অভিনেতারা?  রুদ্রনীল ঘোষের দাবি তাঁর রাজনৈতিক পরিচিতিই নন্দনে শো পাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একের পর এক কল-কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া, বিশ্বায়নের প্রভাবে দ্রূত পরিবর্তিত হতে থাকা আর্থ-সামাজিক পটভূমি আর তাকে ঘিরে তৈরি হওয়া আদর্শহীন, সুবিধাভোগী রাজনৈতিক পরিমন্ডল এই ছবির প্রেক্ষাপট। বিগত ২৫ বছরে বাংলার সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতির প্রতিচ্ছবি দেখা যাবে এই সিনেমায়। স্বপ্নময় চক্রবর্তীর দুটি ছোট গল্প থেকে অনুপ্রাণিত এই ছবির গল্প। ছবির কাহিনী প্রবাহিত হয়  রসময় ও অনির্বান নামে দুজন মানুষকে নিয়ে। এই দুই চরিত্রেই অভিনয় করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ ও রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Deepika Padukone: আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন দীপিকা, কিন্তু কেন?


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে রুদ্রনীল ঘোষ জানান যে, ‘তৃণমূলকে সাপোর্ট না করলেই তুমি নন্দন পাবে না। কারণ এটা থেকে ব্যবসা হয়। নিরপেক্ষ হলেও পাবে না, বিরোধি হলেও পাবে না। আমি কোনও আন্দোলনে যেতে চাই না। কিন্তু এবার তাহলে সব দল থেকে লোক নিয়ে গিয়ে বসে পড়ব, দাবি তুলব এখানে ব্যবসা চলছে। আমরা এগুলো করতে চাই না।’ রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে জানান, ‘এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এক তো বিরোধি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত অভিনেতারা রয়েছেন। অন্যদিকে রাজনৈতিক ছবি। সবাই ধরে নিয়েছে এটা অ্যান্টি তৃণমূল ছবি কিন্তু আদৌ তা নয়। বরং আমি বলব সব ধরনের রাজনীতি নিয়েই এই ছবিতে কটাক্ষ করা হয়েছে। এই ছবিতে এরকম অনেক কিছু আছে যা অন্য ছবিতে থাকে না। আমার মনে হয়, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।’


আরও পড়ুন: Srabanti: অভিরূপের প্রেমে পড়েছেন শ্রাবন্তী! নয়া সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন নায়িকা


ছবির গল্পে হঠাৎ কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ছবির দুই মুখ্য চরিত্রের জীবনের পথ এলোমেলো হয়ে যায়। কাজ চলে যাওয়ায় রসময় বউ, মেয়েকে নিয়ে চরম অভাবে-অনটনে দিন কাটাতে থাকে। ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য রসময় কিছুদিন ইউনিয়নকে নেতৃত্ব দিয়ে খুব মিটিং-মিছিল করে। কিন্তু কিছুই হয় না, একের পর এক করে দিন চলে যায়। রাস্তার ধারে চপ বিক্রি করে কোনওমতে দিন চলতে থাকে। এদিকে রাতের অন্ধকারে কারখানার যন্ত্রপাতি বিক্রি হতে থাকে, কারাখানার জমিতে বহুতল হাউজিং বানানোর চক্তান্ত করতে থাকে রাজনৈতিক নেতারা ও কারখানার মালিক। রসময়ের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিশ্বাস ক্রমশ ভেঙে যেতে থাকে। ক্রমে আরও বড় বিপর্যয় নেমে আসে রসময়ের জীবনে যখন রাস্তার ধারে তার তেলেভাজার স্টলের সামনে ঝাঁ চকচকে সুসজ্জিত তেলেভাজার দোকান খোলে তারই পরিচিত একজন।


আরও পড়ুন: TRP List: জয়ের ধারা অব্যাহত, ফের টিআরপি তালিকায় শীর্ষে 'মিঠাই'


অন্যদিকে অনির্বানের বাবার কারাখানা কয়েক বছর আগে বন্ধ হয়ে যায়। পুরো পরিবারটা এক অনিশ্চয়তার মধ্যে এসে পরে। অনির্বানের সব স্বপ্ন এক হঠাৎ ভেঙ্গে যায়। অনির্বানকে পড়াশোনা ছেড়ে চাকরি খুঁজতে বেরতে হয়। কিন্তু প্রভাবশালী কারোর সুপারিশ না থাকায় কিছুতেই চাকরি হয় না। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বারংবার ব্যর্থ হয়ে সে ভীষণ দিশেহারা হয়ে পড়ে। এরইমধ্যে অনির্বানের প্রেমিকা আনন্দীর জীবনেও বিপর্যয় নেমে আসে। তাদের ভাড়া বাড়ি থেকে জোর করে উচ্ছেদ করার চেষ্টা চলতে থাকে। সেখানে এক প্রোমোটার আবাসন বানাতে চায়। প্রোমোটার আর ভাড়াটেদের সংঘাতে অনির্বানও জড়িয়ে পড়ে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)