Smriti Irani on Sushant Singh Rajput: ‘যেদিন সুশান্তের মৃত্যুর খবর এল...’ সাক্ষাৎকারের মাঝে ভেঙে পড়লেন স্মৃতি ইরানি...
Smriti Irani on Sushant Singh Rajput: ‘যেদিন সুশান্ত চলে গেল, সেদিন আমি ভিডিও কনফারেন্সে ছিলাম। কিন্তু আমি আর পারলাম না। আমি বললাম, থামো। আমার মনে হল, ও আমাকে ডাকল না কেন? ওর একবার ফোন করা উচিত ছিল। আমি ওকে বলেছিলাম, দয়া করে নিজেকে মেরে ফেলো না।’
Smriti Irani, Sushant Singh Rajput, Amit Sadh, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁর আফশোসের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, তাঁর মনে হয়েছিল কেন তিনি তাঁর বন্ধু তথা অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতকে একবার হলেও ফোন করলেন না। ২০২০-র জুন মাসে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর খবর শুনে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন স্মৃতি। সেই কথা মনে করে সাক্ষাৎকারের মাঝেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আরও পড়ুন- Aryan Khan: বাঙালি অভিনেত্রীর সঙ্গে সারারাত পার্টিতে মত্ত আরিয়ান, ভাইরাল শাহরুখপুত্রের ছবি...
‘যেদিন সুশান্ত চলে গেল, সেদিন আমি ভিডিও কনফারেন্সে ছিলাম। কিন্তু আমি আর পারলাম না। আমি বললাম, থামো। আমার মনে হল, ও আমাকে ডাকল না কেন? ওর একবার ফোন করা উচিত ছিল। আমি ওকে বলেছিলাম, দয়া করে নিজেকে মেরে ফেলো না।’ প্রাক্তন টিভি অভিনেত্রী স্মৃতি ইরানি সেই দিনের স্মৃতি রোমন্থন করে জানিয়েছেন, সুশান্ত সিং রাজপুতকে তিনি ভালো মতোই চিনতেন। পাশাপাশি সেটেই দুজনে শ্যুট করতেন আর সেখান থেকেই পরিচয় হয়েছিল তাঁদের।
২০১৪ সালে 'কাই পো চে' ছবিতে সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে কাজ করা অভিনেতা অমিত সাধের কথা উল্লেখ করে স্মৃতি ইরানি বলেন, 'আমি অমিতকে ফোন করেছিলাম। মনে আছে, সুশান্তের মৃত্যুর পর অমিতকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। আমি অমিতকে ফোন করে জানতে চেয়েছিলাম, ও কী করছে? অমিত আমাকে বলেছিল যে ও সুশান্তের মতোই বাঁচতে চায় না। আমি বুঝতে পেরেছিলাম কিছু একটা সমস্যা হয়েছে।’ সেদিন অমিত সাধের সঙ্গে প্রায় ৬ ঘণ্টা কথা বলেছিলেন স্মৃতি।
২০২০ সালের জুন মাসে মুম্বইয়ে তাঁর ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয় সুশান্তের মৃতদেহ। ময়নাতদন্তের ভিত্তিতে মুম্বই পুলিস এটিকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করলেও, তাঁর পরিবার সন্দেহ প্রকাশ করেছে। পরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এই মামলার তদন্তভার নেয়। সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ এনেছিলেন। তদন্ত শেষ পর্যন্ত মাদক সেবনের দিকে মোড় নেয়। অভিনেতার জন্য মাদকের ব্যবস্থা করার অভিযোগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো তাকে গ্রেফতার করে। এক মাস পর জামিনে মুক্তি পান তিনি।