`এসব ফুটেজের দর কষা,ভণ্ড পশুপ্রেম, অসভ্যতামি বন্ধ করুন` Sreelekha-কে কটাক্ষ নেটিজেনদের
কাউকে মারতে লোক পাঠাইনি, ফেসবুকে দাবি শ্রীলেখার
নিজস্ব প্রতিবেদন: শ্রীলেখা মিত্র(Sreelekha Mitra) ও শশাঙ্ক ভাভসরের(Shashank Bhavsar) সোশ্যাল মিডিয়া তরজা এবার আদালতে গড়াল। বুধবার শ্রীলেখার প্ররোচনাতেই শশাঙ্কের উপর চড়াও হয় দময়ন্তী ও আয়ুশী, এমনটাই অভিযোগ। তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানি ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলা করেন শশাঙ্ক। উল্টোদিকে শশাঙ্কের বিরুদ্ধে ৩৪১,৩৫৪,৩২৩ সহ পাঁচটি ধারায় মামলা করেছেন দময়ন্তী ও আয়ুশী। বুধবার শ্রীলেখা ফেসবুক লাইভে জানান যে তিনি কাউকে মারতে লোক পাঠাননি। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা খুললেই চোখে পড়ছে তাঁর উস্কানিমূলক মন্তব্য। তিনি লিখেছিলেন,'সামনে পেলে মেরেই ফেলতাম। দময়ন্তী এক ছাড়বি না'। এতেই তাঁর উপর চটেছেন নেটাগরিকরা। মিথ্যে কথা বলছেন শ্রীলেখা,একথাও উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
আরও পড়ুন: 'জগৎ সাজে বৃন্দাবন', এবার Imon Chakraborty-র গলায় শোনা যাবে কীর্তন
শ্রীলেখা মিত্রের সঙ্গে ডেটে যাওয়ার জন্য একটি কুকুর দত্তক নিয়েছিলেন শশাঙ্ক নামে এক ব্যক্তি। সোমবার আচমকাই জানা যায়, দত্তক নেওয়া কুকুরছানাটিকে মেরে ফেলেছে রাস্তার বড় কুকুরেরা । এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঐ ব্যাক্তির দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিনেত্রী। তাঁকে সামনে পেলে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। কিন্তু কুকুরছানাটি মারা যাওয়ার পিছনে কি শুধুমাত্র শশাঙ্ক দায়ী, নাকি প্রকারান্তরে অভিনেত্রী নিজেও সেই একই অপরাধে অপরাধী, এই প্রশ্নেই সরগরম ছিল নেটদুনিয়া। এরপরই বুধবার বাস্তবেই লোক পাঠিয়ে শশাঙ্ককে রাস্তায় ফেলে মারার অভিযোগ উঠল শ্রীলেখার দিকে। আইন নিজের হাতে কেন তুলে নিলেন শ্রীলেখা, জনপ্রিয় অভিনেত্রী বলে কি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্য়বস্থা নেওয়া হবে না? প্রশ্ন তোলেন নেটিজেনরা।
পুলিশের পাশাপাশি সিপিএম পার্টি অফিসেও অভিযোগ করেন শশাঙ্ক। জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটালকে শশাঙ্ক জানান, পার্টি তাঁর পাশেই আছে। শ্রীলেখা মিত্রকে আর কোন মঞ্চে ডাকা হবে না বলেই আশ্বাস পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে শ্রীলেখা ফেসবুক লাইভে জানান, তাঁর কিছুতেই কিছু যায় আসে না। তিনি কাউকে কৈফিরত দেবেন না। তিনি কাউকে মারতে লোক পাঠাননি। এতেই রেগে গেছেন নেটিজেনরা। শ্রীলেখা প্রথমে প্ররোচনা দিয়েছেন দময়ন্তীকে, এখন সেই দায় নিতে অস্বীকার করছেন, মিথ্যে কথা বলছেন অভিনেত্রী, কটাক্ষ নেটিজেনদের। অন্যদিকে তাঁর পশুপ্রেমকে তাঁর ভন্ডামি বলেও দাবি করেন অনেকে। ফুটেজ খাওয়ার জন্য শ্রীলেখার এই আচরণ। এরকমই নানা কটাক্ষে ভরে উঠেছে সোশ্যাল পেজের পাতা।