SSC Scam : রাজ্যে ফের পরিবর্তনের ডাক, দুর্নীতি ইস্যুতে সরব বুদ্ধিজীবীরা
রাজ্য়ে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে এবার সোচ্চার বুদ্ধিজীবীরা। `রাজ্যে আরেকটা পরিবর্তন আসন্ন, সেটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বুঝতে পারছেন।` এমনটাই মত শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকারের। তাঁর কথায়, `পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য শুধু ভারতবর্ষ নয়, গোটা পৃথিবীর কাছে বাঙালিদের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে।` বাংলায় ফের পরিবর্তনের ডাক দিয়ে পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিদ্বজ্জনেরা। সোমবার বিকেলে দুর্নীতি ইস্যুতে মিছিল করতে চলেছেন তাঁরা। ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে মেয়োরোড পর্যন্ত মিছিলে হাঁটবেন বুদ্ধিজীবীরা।
অয়ন ঘোষাল : রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে এবার সোচ্চার বুদ্ধিজীবীরা। 'রাজ্যে আরেকটা পরিবর্তন আসন্ন, সেটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বুঝতে পারছেন।' এমনটাই মত শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকারের। তাঁর কথায়, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য শুধু ভারতবর্ষ নয়, গোটা পৃথিবীর কাছে বাঙালিদের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে।' বাংলায় ফের পরিবর্তনের ডাক দিয়ে পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিদ্বজ্জনেরা। সোমবার বিকেলে দুর্নীতি ইস্যুতে মিছিল করতে চলেছেন তাঁরা। ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে মেয়োরোড পর্যন্ত মিছিলে হাঁটবেন বুদ্ধিজীবীরা।
শনিবার SSC দুর্নীতি ইস্যুতে বুদ্ধিজীবীদের সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবদূত ঘোষ, চন্দন সেন, মানসী সিনহা, পরিচালক অনীক দত্ত, সঙ্গীতশিল্পী দেবজ্যোতি মিশ্র, শুভেন্দু মাইতি, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নাগরিকবৃন্দ। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে শচীন সেনগুপ্তের 'সিরাজউদ্দৌলা' নাটকের প্রসঙ্গ টেনে শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, নাটকে রয়েছে 'বাংলার আকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা।' এই কথাটাই আজ মর্মান্তিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সত্যি হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন-ওঁরা নির্ভীক! গোঁড়ামির বিরুদ্ধে একরোখা 'লক্ষ্মী ছেলে'
আরও পড়ুন-রণবীরের ছবির সেটে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু এক সিনেমাকর্মীর
বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ২০১১ পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে যত নিয়োগ হয়েছে, তার সবটাই দুর্নীতিতে কলুষিত। তাঁর কথায়, পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠনের খোলনলচে বদলে সেটাকে তৃণমূলের কাছের লোক দ্বারা পরিচালিত করা হচ্ছে। বলেন, 'আমি পার্থবাবুর কথার সঙ্গে একমত। ষড়যন্ত্র হয়েছে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। সরকারি স্কুলের ব্যাপারে অনীহা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র।' আবার এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসুর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন অভিনেতা জয়রাজ ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, 'ব্রাত্য বসু দায় এড়াতে পারেন না। কারণ, শেষদিকে পার্থবাবু আর শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন না। ব্রাত্য বলেছেন, শুধু তৃণমল কংগ্রেসের ছেলেমেয়েরাই চাকরি পাবেন।' রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় 'বুদ্ধিজীবীরা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড। চুপ করে থাকার অর্থ খুব গভীর'। এদিন জাগোবাংলার এক সাংবাদিকের প্রশ্নে বেজায় চটে যান পরিচালক অনীক দত্ত। যা নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের সাংবাদিক সম্মেলনে তুমুল অশান্তি তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তবে অনীক দত্ত সাফ জানান, বিকাশদা ক্ষমা চাইছেন, শান্ত করার চেষ্টা করছেন, তবে আমি থামব না।