Shabaash Mithu : `মিতালি হয়ে উঠছেন তাপসী, সন্দেহ মিটেছিল মেকিং দেখেই`
ইডেনে একসঙ্গে `রিল` ও `রিয়েল`, হাজির তাপসী পান্নু (Taapsee Pannu) এবং মিতালি রাজ (Mithali Raj)।
সব্যসাচী বাগচি : শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু ক্রিকেট (Cricket) আর ক্রিকেট (Cricket) । তাই 'সাবাশ মিঠু'(Shabaash Mithu) সিনেমার প্রচারের জন্য ইডেন গার্ডেন্সকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন 'রিল' ও 'রিয়েল' তাপসী পান্নু (Taapsee Pannu) এবং মিতালি রাজ (Mithali Raj)। সঙ্গে ছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji)। ছবির প্রয়োজনে কী ভাবে তাপসী, মিতালি হয়ে উঠেছিলেন? আলোচনায় পরিচালক ও অভিনেত্রীর মুখে সেবিষয়টিই উঠে এল।
মিতালি রাজকে প্রশ্ন করা হয় তাপসী আপনার ভূমিকায় অভিনয় করতে পারবেন বলে মনে হয়েছিল? উত্তরে মিতালি বলেন 'তাপসী অভিনয় করতে পারবেন জানতাম, তবে আমার মতো ব্যাটিং করতে পারবেন কিনা সন্দেহ ছিল। ট্রেলার, মেকিং দেখে সেই সন্দেহ মিটে গেছে।' মিতালির মতো ব্যাটিং স্টান্স নকল করা কি খুব সহজ ছিল? এবিষয়ে তাপসী বলেন, 'আমি ক্রিকেটের ফ্যান অ্যাডিক্ট। ছোট থেকেই ক্রিকেট দেখতাম। একসময় যখন ম্যাচ ফিক্সিং-এ ভারতীয় দল জর্জরিত হয়, তখন আমার বয়স ১২-১৩। খারাপ লাগা থেকে সেসময় ক্রিকেট দেখাই বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
আরো পড়ুন-Raj-Subhashree : বান্ধবীর মন খারাপ, ভোলাতে ঠোঁটে চুমু ছোট্ট ইউভানের, ভাইরাল ভিডিয়ো
তাপসী আরও জানান, 'আমার কাছে যখন এই চরিত্রটির প্রস্তাব আসে, এবং সৃজিত মুখোপাধ্যায় ছবির দায়িত্ব নিলেন, তখন থেকেই আলোচনা শুরু করে দিয়েছিলাম, কীভাবে এটাকে তুলে ধরব।' তাঁর কথায়, 'বাড়িতে খেলাধুলার পরিবেশ ছিল। তবে আমি খেলোয়াড় না হয়ে অভিনেত্রী হয়েছি। পেশাদার না হলেও আমি আমার কেরিয়ারে একাধিকবার বিভিন্ন খোলোয়াড়ের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি। আর সেই চরিত্রগুলি পেশাদারিত্বের সঙ্গেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাপসী থেকে মিতালি রাজ হয়ে ওঠার জার্নি শুরু হয়েছিল সেখান থেকেই।'
এদিন শুধু মিতালিই নন, তাপসীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সৃজিত বলেন, 'মিতালি যখন বিশ্বাকাপ খেলছিলেন, সেসময় ওঁর সঙ্গে ফোনে কথা হত। ওঁর কিছু পুরনো খেলার ফুটেজও জোগাড় করি। শেষ বিশ্বকাপের সময় দেখি মিতালির ব্যাটিং স্টান্স বদলে গিয়েছে। তাপসী অবশ্য সবকিছুই খুব ভালো আয়ত্ত করে নিয়েছিলেন।'
সৃজিত আরও জানান, 'ছবিতে ঝুলন গোস্বামীর চরিত্রে মুমতাজ সরকার অভিনয় করেছেন। এরপর বাকি যাঁরা ছিলেন সকলেই প্রায় রাজ্যস্তরে ক্রিকেট খেলেছেন। সেসমস্ত বোলারদের বিরুদ্ধে নেটে তাপসী ব্যাটিং করেছেন। প্রশিক্ষণের সময় একটি ইয়র্ককার বল ডান পায়ের বুড়ো আঙুলে লেগে উঠে যায়।' সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কেরিয়ারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন জন রাইট ও গ্রেগ চ্যাপেল। তেমনই মিতালির কেরিয়ারের নেতিবাচক অধ্যায়ের নাম হল রমেশ পাওয়ার। সেই হেড কোচের চরিত্র কি সিনেমায় আছে? এর উত্তরে অবশ্য ধোঁয়াশা বজায় রাখলেন সৃজিত।