নিজস্ব প্রতিবেদন : বিয়ের ৬ মাসের মধ্যেই ছন্দপতন। আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছে পুত্রবধূ। বেহালায় মডেল-অভিনেত্রী মঞ্জুষার (Manjusha Neogi) শ্বশুরবাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এই ঘটনার পর হতবাক মঞ্জুষার শাশুড়ি এবং ননদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঞ্জুষার শাশুড়ির কথায়, ৬ মাস আগে তাঁর ছেলে রামনাথ ব্যানার্জির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মঞ্জুষার (Manjusha Neogi)। রামনাথ ব্যানার্জির পেশায় ফটোগ্রাফার। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঞ্জুষার ব্যক্তিগত ফোটোগ্রাফার ছিলেন রামনাথ বাবু। সেখান থেকেই দুজনের সম্পর্কের সূত্রপাত। বয়সের অনেক ব্যবধান থাকলেও, নভেম্বর মাসে যুগল বিয়ে করে। নতুন জীবনের গাঁটছড়া বাঁধে। শাশুড়ি জানাচ্ছেন, ভালোভাবেই সংসার করছিলেন দুজনে। কোনও ঝামেলা ছিল না দুজনের মধ্যে। হঠাৎ আজকের এই ঘটনায় হতবাক তাঁরা।


জামাইকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন মঞ্জুষার মা-ও। তিনি বলেন, "৬ মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল। আড়াই মাস আগেও ঝাঁপ দিতে গিয়েছিল। জামাই ওকে বাঁচিয়েছিল। জামাই খুব ভালো। জামাইয়ের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। ওর কোনও কিছুর অভাব ছিল না।" তবে মঞ্জুষার মা এটাও জানান যে, দিন পাঁচেক আগে বাপেরবাড়িতে এসেছিল মেয়ে। বৃহস্পতিবার রাতে জামাই নিতে আসে। তখন মেয়ে মঞ্জুষা রামনাথ বাবুকে এই বলে শাসায় যে, "চল, বাড়ি গিয়েই ঝুলে পড়ব। তোমাকে ফাঁসাব।" যার প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। 


প্রসঙ্গত, মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের বান্ধবী ছিলেন মঞ্জুষা নিয়োগী (Manjusha Neogi)। মঞ্জুষা নিজেও একজন মডেল। সিরিয়ালেও অভিনয় করেছেন। মঞ্জুষা টলিউডে কাজ করছেন বহু দিন ধরেই। একটি টিভি চ্যানেলে ধারাবাহিকেও অভিনয় করতেন। পাশাপাশি থিয়েটারেও অভিনয় করতেন তিনি। বুধবার নাগেরবাজারে ফ্ল্যাটে বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তারপর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার ফটোশুট সেরে বাড়ি ফেরার পর থেকে বার বারই বলতে থাকেন যে, "আমিও মরে যাব। আমিও মরে যেতে চাই।" এরপর শুক্রবার সকালে পাটুলি বাড়িতে মঞ্জুষার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। 


আরও পড়ুন, Exclusive: "আমরা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন নই", টলিপাড়ায় পর পর মৃত্যুতে কী বলছে ইন্ডাস্ট্রি?


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)