ইনায়ার সঙ্গে মশগুল Taimur, ছেলেকে দেখে উচ্ছল Kareena

নিজস্ব প্রতিবেদন: আর কয়েকদিন পর আসছে দ্বিতীয় সন্তান। নতুন অতিথি আসার আগে পরিবারকে নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন করিনা কাপুর খান (Kareena Kapoor Khan)। সইফ আলি খান, তৈমুরের পাশপাশি ছোট্ট ইনায়াকে নিয়ে কাটছে করিনার সময়। এবার সেই ছবি শেয়ার করলেন কাপুর-কন্যা। যেখানে ইনায়া এবং তৈমুরের ছবি উঠে আসে প্রকাশ্যে। খাবারের পাত্র সামনে নিয়ে তৈমুর এবং ইনায়া যেভাবে হাসিমুখে ক্যামেরার সামনে তাকাতে শুরু করে, তা দেখে আপ্লুত হয়ে যান করিনা। তৈমুর, ইনায়া, দুজনেই অসাধারণ বলে মন্তব্য করেন বেগম সাহেবা।

দেখুন...

তৈমুর এবং ইনায়ার ছবির পিছনে দেখা যায় সইফ আলি খানকে। কুণাল খেমুর সঙ্গেই বসে থাকতে দেখা যায় সইফকে। তৈমুর, ইনায়ার পিছনে যাঁরা বসে রয়েছেন, তাঁরা আদতে খুব একটা খারাপ নন বলেও ক্যাপশন জুড়তে দেখা যায় করিনাকে।

এদিকে দ্বিতীয় সন্তান আসার আগে সম্প্রতি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)। অভিনেতা বলেন, তৈমুরের (Taimur Ali Khan) জন্মের পর থেকে তাঁর জীবনের অস্থিরতা কমে গিয়েছে। তিনি থিতু হতে শুরু করেছেন। জীবনের এমন একটি পর্যায়ে তিনি এসে পৌঁছেছেন, যখন অস্থিরতার সঙ্গে তিনি আপোস করতে রাজি নন। শুধু তাই নয়, সন্তানরা তাঁর আশপাশে থাকবে, সেই জীবন কাটাতে কার না ভাল লাগে বলে মত প্রকাশ করেন সইফ। তৈমুরের পর আরও একজন এলে, তাঁদের জীবন পরিপূর্ণ হবে। সেই কারণেই ছোট্ট তৈমুর এবার দাদা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় বলিউডের ছোটে নবাবকে।

এদিকে দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর পিতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে তবেই তিনি 'আদিপুরুষের' শ্যুটিংয়ে ফিরবেন বলে জানান সইফ আলি খান। আদিপুরুষে সইফের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করছেন প্রভাস। ওই সিনেমায় লঙ্কেশের ভূমিকায় অভিনয় করবেন সইফ। লঙ্কেশকে এই ছবিতে দয়ালু ভূমিকায় দেখানো হতে পারে বলে মন্তব্য করে বিপাকে পড়েন ছোটে নবাব। পরে সাফাই দিয়ে সইফ পালটা মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, কারও ধর্মীয় বিশ্বাসে তিনি আঘাত করতে চাননি। লঙ্কেশের ভূমিকা নিয়ে কথা বলে তিনি যদি কারও ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করে থাকেন, তার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী বলেও জানান সইফ।

প্রসঙ্গত শুধু আদিপুরুষ নয়, সম্প্রতি 'তাণ্ডব' নিয়েও বিপাকে পড়েন সইফ আলি খান। তাণ্ডবে হিন্দু দেবদেবীদের আঘাত করা হয়েছে, এই অভিযোগে সিনেমার পরিচালক আলি আব্বাস জাফরের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় এফআইআর। তবে তাণ্ডবের জন্য সইফকেও ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করা হয় উত্তরপ্রদেশ পুলিসের তরফে।