নিজস্ব প্রতিবেদন: কোভিশিল্ডের (Covishield Vaccine) প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ব্যবধান বাড়ানোর সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় প্যানেল। কোভিশিল্ডের (Covishield Vaccine) প্রথম ডোজ নেওয়ার ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া সুপারিশ করা হয়েছে। ইতিমধ্য়ে তা মেনেও নিয়েছে স্বাস্ত্য়মন্ত্রক। দেশের বিভিন্ন দিকে যখন করোনা টিকার জন্য হাহাকার, চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India), এখন কেন্দ্রের এই সুপারিশ অনেক প্রশ্ন তৈরি করেছে। কোভিশিল্ডের (Covishield Vaccine) দুটি ডোজের মধ্য়ে ব্যবধান বাড়ালে আদৌ তা কতটা কার্যকর হবে, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  ২৪ ঘণ্টায় Corona মুক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৪৪ হাজারের বেশি, মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার


এই বিষয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?


ভাইরোলজিস্ট (virologist) তথা ইনস্টিটিউট অফ চাউল্ড হেলথের (Institute of child health) অ্য়াসোসিয়েট প্রফেসর ডাক্তার সুমন পোদ্দার বলেন, "একদম প্রথমে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্য়ে যে ব্য়বধান ছিল, তাতে আশানরূপ ফল মেলেনি। পরে ব্যবধান ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ করা হলে সন্তোষজনক ফল মেলে। তবে এবার কোন বৈজ্ঞানিকভিত্তিতে দুটি ডোজের ব্যবধান ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করা হয়েছে, তা এখনও আমার অজানা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে মাস ভ্য়াকসিনেশন প্রয়োজন। সবার কাছে টিকা পৌঁছে দিতেই হয়ত সরকারের এই চেষ্টা। এই সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর, তা সময়ই বলবে।" অ্যাপলো হাসপাতালের কনসালট্য়ান্ট ফিজিসিয়ান তথা রিউমাটোলজিস্ট (Rheumatologist) ডাক্তার শ্য়ামাশিস বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, "ইংল্য়ান্ডে যখন কোভিশিল্ড (Covishield Vaccine) দেওয়া শুরু হয়, তখন এই টিকার দুটি ডোজের মধ্য়েকার ব্যবধান যথেষ্ট বেশি রাখা হয়। সেক্ষেত্রে ভাল ফলাফলও মিলেছে। ভারতে এর ফলাফল কী হবে, তা সময়ই বলবে। আশা করা যায় ভালই হবে।"


আরও পড়ুন:  করোনার ভারতীয় প্রজাতির উপরে Vaccine-এর কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে: WHO


কেন্দ্রীয় প্যানেলের এই সুপারিশকে 'যুক্তিসঙ্গত' বলেছেন মার্কিন বিশেষজ্ঞ অ্যান্টোনি ফাইসি। যদিও এই সুপারিশের বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। সমালোচনার সুরে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ প্রশ্ন করেছেন, সেরাম পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা উৎপাদন করতে না পারার জন্য়ই কি ব্যবধান বাড়ানোর সুপারিশ? একদম শুরুতে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ নেওয়ার মধ্যে ২৮ দিনের ব্যবধান রাখা হয়। পরে তা বাড়িয়ে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ করে কেন্দ্র। এবার সেই ব্যবধান আরও বাড়িয়ে. ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করার সুপারিশ কেন্দ্রীয় প্যানেলের। এবার এই সুপারিশ দ্য ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অফ ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন( NEGVA) কাছে পাঠানো হবে।