নিজস্ব প্রতিবেদন: গোটা বিশ্বে করোনা এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষের প্রাণ কাড়লেও ভাইরাসের প্রকোপ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষ। আর এর থেকেই একটা ধারণা ক্রমশ বদ্ধমূল হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষের মনে। অনেকেই মনে করতে শুরু করেছেন, ধীরে ধীরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে মানুষের শরীরে। অন্যান্য ফ্লু বা ভাইরাল সংক্রমণের মতো এ ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়তো এমনিতেই সেরে উঠবে মানুষ! কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO জানিয়েছে, এই ধারণা অত্যন্ত বিপজ্জনক! তাই করোনার থেকে বাঁচতে এখনই আরও সতর্ক হওয়া জরুরি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি WHO-এর জরুরী স্বাস্থ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক (executive director) ডঃ মাইকেল রায়ান জানান, বিশ্বের করোনা আক্রান্ত দেশগুলিতে মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই এই ভাইরাস প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে উঠবে, এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল! কোনও ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে একটা দেশের সমস্ত নাগরিককে টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে বিবেচনা করে দেখা হয়, কাদের টিকা দেওয়া হলে দেশের বেশির ভাগ মানুষকে মহামারির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে বিস্তর জটিল গাণিতিক বিশ্লেষণের প্রয়োজন হয়। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে ‘হার্ড ইমিউনিটি’র ধারণা আদৌ কার্যকর কিনা, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।


যখন কোনও দেশের বেশির ভাগ মানুষের শরীরে কোনও ভাইরাস বা ব্যাধির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে তখন ওই ভাইরাস বা ব্যাধির বিস্তার বা সংক্রমিত হওয়ার গতি স্বাভাবিক ভাবেই ধীরে ধীরে কমে আসে এবং একটা সময়ের পর বন্ধ হয়ে যায়। একেই ‘হার্ড ইমিউনিটি’ বলা হয়। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে এমনটা না-ও হতে পারে। তাই অন্যান্য ফ্লু বা ভাইরাল সংক্রমণের মতো করোনার ক্ষেত্রেও মানুষ হয়তো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এমনিতেই সেরে উঠবে, এ ধারণা অত্যন্ত বিপজ্জনক বলেই মত ডঃ রায়ানের!


আরও পড়ুন: রাস্তা-ঘাটে জীবাণুনাশক ছড়ালেও মরবে না করোনা, উল্টে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে স্বাস্থ্যের!


COVID-19 থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের নিয়ে একাধিক সুসংগঠিত গবেষণা ও সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য হাতে না পাওয়া পর্যন্ত ‘হার্ড ইমিউনিটি’র সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট ধারণা করা সম্ভব নয়, জানান ডঃ রায়ান। WHO-এর পরামর্শ, এই ধারণা এখনই ঝেড়ে ফেলতে না পারলে করোনা সংক্রমণের গতি আরও বাড়বে, আক্রান্ত হবেন আরও লক্ষ লক্ষ মানুষ। বাড়বে গোষ্ঠী সংক্রমণের ঘটনাও।