মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আগের কোভ্যাক্সিন (Covaxin) ব্যবহারই শুরু হয়নি এখনও। এরই মধ্যে রাজ্যে আসতে চলেছে ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারত বায়োটেক, আইসিএমআর, এনআইভি পুণের তৈরি কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় কনসাইনমেন্ট। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় হায়দরাবাদ থেকে রাজ্যের জন্য ১৬৪৭২ ভায়াল (৩২৯৪৪০ ডোজ) পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। এয়ার এশিয়ার বিমানে তা সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে এসে পৌঁছবে কলকাতায়।


ঘটনা হল, রাজ্যে প্রথম দফায় কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) ১লক্ষ ৬৮ হাজার ডোজ এসেছিল গত ২২ জানুয়ারি। তৃতীয় ফেজ ট্রায়াল সম্পূর্ণ না হওয়ায়, গোটা দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যেও কোভ্যাক্সিন (Covaxin) নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন ছিল স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা হবে না কোভ্যাক্সিন। রাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকের পর স্বাস্থ্য দফতর সিদ্ধান্ত নেয়, ২ অথবা ৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ৩টি হাসপাতাল, এসএসকেএম (SSKM), আরজিকর (RG Kar)এবং স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে। কিন্তু, চিকিৎসক মহলের আপত্তিতে তা শুরু করা যায়নি। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, “ওই প্রতিষ্ঠানগুলি তাঁদের ভ্যাকসিনপ্রাপকদের আশঙ্কা দূর করে রাজি করানোর জন্য কিছুটা সময় চেয়েছে।” 


আরও পড়ুন- Budget 2021: টিকার জন্য বরাদ্দ ৩৫ হাজার কোটি টাকা


অন্যদিকে, কোভ্যাক্সিনকেও টিকাকরণের জন্য ব্যবহারের জন্য কেন্দ্রের তরফে চাপ দেওয়ায়, তড়িঘড়ি মঙ্গলবার কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলির সিনিয়র ডাক্তার ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে বলেন, “কোভ্যাক্সিন নিয়ে চিকিৎসক-চিকিৎসারর্মীদের মনে কিছু প্রশ্ন রয়েছে, সেটা নিরসনের সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি আমরা কোভ্যাক্সিন দেওয়া শুরু করতে পারব।”


আরও পড়ুন- অ্যান্টিবডির আয়ু থাকছে ৬ মাস, বলছে CSIR-এর সমীক্ষা