ওয়েব ডেস্ক: কিডনিতে স্টোন? অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে কিডনির দফারফা? ডায়ালিসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া উপায় নেই? খরচের ভয়ে পিছিয়ে আসছেন? এবার হাতের কাছেই মুশকিল আসান। কৃত্রিম কিডনি তৈরি করে ফেলেছেন বাঙালি বিজ্ঞানী শুভ রায়। খুব শিগগিরই বাজারে আসছে এই কৃত্রিম কিডনি। কম খরচে কিডনির সমস্যার চটজলদি সমাধান।আধুনিক জীবন। জেটগতির লাইফস্টাইল। ফাস্টফুডের প্রতি তীব্র ভালবাসা। পরিণতি, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীর রোগের ডিপো। বারোটা বাজছে হার্ট, ফুসফুস, লিভার, কিডনির। ক্রনিক হচ্ছে কিডনির রোগ। ডায়ালিসিসের জন্য হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যদি নষ্ট হয়ে যায় কিডনি? সমাধানের একটাই রাস্তা। কিডনি প্রতিস্থাপন।কিডনি সমস্যার সুরাহা খুঁজতে এবার ডায়ালিসিস বা প্রতিস্থাপনের দিন শেষ হল। বিকল অঙ্গের বদলে খুব শিগগিরই বাজারে আসছে কৃত্রিম কিডনি। আকারে হাতের মুঠোর সমান। খরচ তুলনায় অনেকটাই কম। ২০১৯-এর মধ্যেই বাজারে আসার সম্ভাবনা এই কৃত্রিম কিডনির। কিডনি বিকল হলে রক্ত শোধনে ঘাটতি দেখা দেয়। শরীরে বিষাক্ত বর্জ্য জমে রক্ত দূষিত হয়। বর্তমানে এই সমস্যা সমাধানের জন্য ডায়ালিসিস প্রক্রিয়ার সাহায্যে কৃত্রিম উপায়ে রক্ত শোধন করা হয়।এজন্য রোগীকে একাধিক দিন হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। শুধু তাই নয়, ডায়ালিসিস চলাকালীন বা পরে অধিকাংশ রোগী ডায়াবেটিস ও হাইপার টেনশনে ভোগেন। যা সমস্যা আরও জটিল করে তোলে।বিকল কিডনির বদলে রোগীর দেহে সুস্থ কিডনি প্রতিস্থাপনও হয়ে থাকে। তবে তা সহজলভ্য নয় এবং খরচ সাপেক্ষ। এই সব সমস্যার সমাধানে এই দশকের মধ্যেই বাজারে আসছে কৃত্রিম কিডনি। যা স্বাভাবিক কিডনির সব কাজ করতে সক্ষম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন বাড়িতে এই চারটে জিনিস নিয়মিত করুন, ওজন বাড়বে না


যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং এই যন্ত্রের সহ-আবিষ্কারক শুভ রায় জানিয়েছেন, চলতি দশকের শেষ অথবা নয়া দশকের গোড়ায় বাজারে পাওয়া যাবে এটি। আমেরিকায় তৈরি এই যন্ত্র আপাতত সেদেশের কয়েক হাজার রোগীর দেহে পরীক্ষামূলকভাবে বসানো হয়েছে। শারীরিক সুরক্ষা ও সর্বাঙ্গীন সাফল্যের পরীক্ষায় উতরোলে তা বাজারে ছাড়ার অনুমতি দেবে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক এফডিএ। কীভাবে কাজ করে এটি? শুভ রায় জানিয়েছেন,যন্ত্রটি সহজের পেটের ভিতরে স্থাপন করা যায়। স্বাভাবিক কিডনির মতো রক্ত শোধন করা ছাড়াও হরমোন উত্পাদন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। সাধারণ হিমোডায়ালিসিস প্রক্রিয়ার মতো রক্ত থেকে বিষাক্ত বর্জ্য বাদ দেওয়া ছাড়াও জীবন্ত কিডনি কোষ দিয়ে তৈরি বায়ো রিঅ্যাক্টর এবং সূক্ষ্ণ পর্দার মাধ্যমে রক্ত শোধনের কাজ নিখুঁতভাবে করতে পারে কৃত্রিম কিডনি।কিডনি সমস্যায় ভারতে প্রতি বছর প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডায়াবিটিস এবং হাই ব্লাড প্রেশারই তার অন্যতম কারণ। কিডনির ক্রনিক সমস্যা সমাধানে ডায়ালিসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের খরচ বিপুল। ২০১২ থেকে ২০১৬-র মধ্যে তামিলনাড়ুতে ২ লক্ষ ২১ হাজারের বেশি মানুষের ডায়ালিসিস করাতে খরচ হয়েছে ১৬৯ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা। ডায়ালিসিস ছাড়াও ৬০ হাজারের বেশি মানুষ কিডনিতে পাথর এবং মূত্রাশয়ের চিকিত্সা করিয়েছেন। কৃত্রিম কিডনির সঠিক খরচের হিসাব এখনই না বললেও শুভ রায়ের দাবি, ডায়ালিসিস ও কিডনি প্রতিস্থাপনের চেয়ে অনেক কম খরচে বসানো যাবে কৃত্রিম কিডনি।


আরও পড়ুন দেশের প্রতি তিন শিশুর একজন পুরোপুরি সুস্থ নয়