নিজস্ব প্রতিবেদন: টিকা তৈরির পাশাপাশি করোনা চিকিৎসায় সহজলভ্য, বিকল্প প্রতিষেধকের কার্যকারিতা সম্পর্কে গবেষণা চালাচ্ছেন ICMR-এর গবেষকরা। এই পরিস্থিতিতে করোনার চিকিৎসায় আশার আলো দেখাচ্ছে বিসিজি ভ্যাকসিন (BCG vaccine)। ব্রিটেন, আমেরিকা, চিন, রাশিয়ার পাশাপাশি ভারতেও করোনার চিকিৎসায় যক্ষার প্রতিষেধক বা বিসিজি ভ্যাকসিন (BCG vaccine)-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সবচেয়ে ভাল ফল মিলেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশ্বের মোট ১৩৪টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে এই গবেষণায়। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স-এর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যে দেশগুলিতে বিসিজি টিকা (যক্ষ্মা বা কুষ্ঠরোগের প্রতিষেধক) বাধ্যতামূলক, সে সব দেশে করোনায় মৃত্যুর হারও তুলনামূলক ভাবে কম। এই তালিকায় রয়েছে ভারতের নামও। বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, ভারত, চিনের মতো দেশগুলিতে বিসিজি টিকাকরণে আগে থেকেই গুরুত্ব দেওয়ায় এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি হলেও মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম। শিশুর জন্মের ১৫ দিনের মধ্যেই বিসিজি টিকা দেওয়া হয়। মহারাষ্ট্র সরকার নতুন করে বিসিজি প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে।


সম্প্রতি মার্কিন বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স’ (Proceedings of the National Academy of Sciences)-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে, যক্ষার প্রতিষেধক প্রয়োগ করে করোনায় মৃত্যুর হার অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে! এই গবেষণা সম্পর্কে গবেষক দলের প্রধান ভার্জিনিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লুইস এস্কোবার (Luis Escobar, Virginia Polytechnic Institute) জানান, আশঙ্কাজনক করোনা রোগীদের উপর যক্ষার প্রতিষেধক প্রয়োগ করে মৃত্যুর হার প্রায় ১০.৪ শতাংশ পর্যন্ত কমানো গিয়েছে।


আরও পড়ুন: সাফল্য বাংলার! বেলেঘাটা আইডি-তে করোনার প্লাজমা থেরাপির ট্রায়ালে মিলল আশাব্যঞ্জক ফল!


এ দিকে, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান এবং দিল্লি থেকে নির্বাচিত ষাটোর্ধ্ব প্রায় ১,৫০০ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবকের উপর বিসিজি প্রতিষেধক প্রয়োগ করে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। ১৫ জুলাই থেকে চেন্নাইতে এই ট্রায়াল শুরু হয়েছে। বয়স্ক করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর হার কমাতে এবং সুস্থতার হার বাড়াতে কতটা কার্যকর বিসিজি টিকা (যক্ষ্মা বা কুষ্ঠরোগের প্রতিষেধক), সেটাই এই ট্রায়ালের মাধ্যমে দেখে নিচ্ছেন ICMR-এর বিশেষজ্ঞরা।