নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার মাঝে নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। গত ২৪ ঘণ্টায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের (Black Fungus) কারণে মধ্যপ্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এই মুহূর্তে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের(Black Fungus) সঙ্গে লড়াই করছে ১৩ জন। অন্যদিকে ভোপালে আক্রান্ত ৭ জন। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে প্রায় ২ হাজারের বেশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের রোগী রয়েছে, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মেডিক্যাল কলেজে মিউকরমাইকোসিস অর্থাৎ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা হবে। মস্তিষ্ককে একেবারে অকেজ করে দিচ্ছে এই ছত্রাক(Black Fungus)। চোখে বাসা বাঁধছে  সে। বেশ কিছুক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের সময়টুকু দিচ্ছে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোটা দেশে জুড়ে এখন করোনার পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস(Black Fungus) নিয়ে ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছে। কারণ, করোনা এখন চেনা শত্রু। কিন্তু ব্ল্যাক ফাঙ্গাস(Black Fungus)! অনেকেই এর সম্পর্কে কিছুই জানেন না। মহারাষ্ট্র দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে ও ওড়িশায় ছেয়ে গিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের (Black Fungus)প্রকোপ।  মূলত, যাদের শরীরে ইমিউনিটি একেবারেই কম, তাঁদের শরীরেই বাসা বাঁধছে এই ছত্রাক(Black Fungus)। 


আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি,Corona আক্রান্ত ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪২১


তবে, নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য ভিকে পাল শুক্রবার জানান, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের (Black Fungus)সংক্রমণ অস্বাভাবিক কিছু নয়। কোভিডের সঙ্গেও এর বিশেষ কিছু সম্পর্ক নেই। সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস রোগীদেরই এটি আক্রমণ করে। এর সাথে কোভিড সংক্রমণের যোগাযোগ নেই।   


অন্যদিকে, আমেরিকার অতিমারি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানাচ্ছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস(Black Fungus) একটি বিরল ছত্রাকের সংক্রমণ। চারপাশের পরিবেশেই বাস। বাতাস থেকে প্রশ্বাসের মাধ্যমে এই ছত্রাকের (Black Fungus) বীজ দেহে প্রবেশ করলে সাইনাস বা ফুসফুসকে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করে। এর আক্রমণের ফলে ত্বকে কাটা, পোড়ার মতো দাগ রয়ে যায়। ফুসফুস প্রতিস্থাপন বা আইসিইউতে থাকা রোগীর ক্ষেত্রে ভয়াবহ ভূমিকা নেয় এই ভাইরাস (Black Fungus)। 


আরও পড়ুন: শিশুদের উপর Covaxin ট্রায়ালে অনুমতি পেল Bharat Biotech


ভি কে পাল এর মতে, "ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus) ভিজে জায়গাতেই বাঁচে। ডায়াবেটিস নেই এমন রোগীদের মধ্যে এর সংক্রমণের সম্ভাবনা ক্ষীণ। কোভিড রোগীদের মধ্যে ছত্রাকের (Black Fungus) সংক্রমণের  খবর মিলেছে বটে তবে আমি জানাতে চাই এখনও কোনো বড় সংক্রমণ ঘটেনি। আমরা সবরকম স্তর থেকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছি।" এই ছত্রাকের (Black Fungus)সংক্রমণ সম্পূর্ণ প্রতিরোধ্য এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে চিন্তার কারণ নেই বলেই মত ভি কে পালের।


এই রোগে মূলত যে লক্ষণগুলো দেখা যাচ্ছে, তা হল নাক বন্ধ হয়ে আসা, নাক থেকে চাপা রক্তের মতো কালো পুঁজ বেরনো, চোয়ালে ব্যথা, নাকের উপর কালচে দাগ।


আরও পড়ুন: সন্তানের Corona হলে কী করবেন? রইল গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শের তালিকা


সংক্রমণ রোধের উপায়?


১. করোনা আক্রান্ত রোগীর রক্তের গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখা।
২. নির্দিষ্ট পরিমাণে স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধের ব্য়বহার। 
৩. পরিশ্রুত জল পান।
৪. অ্যান্টি-বায়োটিক এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ওষুধের সঠিক পরিমাণে ব্য়বহার।
৫. 'মিউকরমাইকোসিস'-এ সংক্রমিত রোগীকে অ্যাম্ফোটেরসিন-বি ইঞ্জেকশন দেওয়া।