ওয়েব ডেস্ক: নারী জীবনে স্তন নিয়ে নানা খুঁতখুতানি। মানসিক চিকিত্সকদের অভিজ্ঞতা বলে, স্তনের আকৃতি একপ্রকার মানসিক জটিলতার জন্ম দেয়। তাই অসুখ থেকে অবসাদ, বহু ক্ষেত্রে বক্ষ একটা 'বিষয়' হয়ে দাঁড়ায়। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে ক্যান্সারেরও সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন সমীক্ষকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি অ্যাংলিয়া রাসকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বীরেন স্বামী ও ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের গবেষক অ্যাড্রিয়ান ফার্নহ্যাম একটি সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, ‌যেসব মহিলাদের স্তন 'আকারে ছোট', তাঁদের মধ্যে নিজেদের স্তন পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে অনীহা প্রবল। ফলে স্তনে কোনও পরিবর্তন দেখা দিলেও, তাঁরা চিকিৎসকের কাছে ‌যেতেও আগ্রহ দেখান না।


অারও পড়ুন-যোগীর বাড়ি লক্ষ্য করে আলু ছুড়ে বিক্ষোভ কৃষকদের


প্রায় ৪০০ ব্রিটিশ মহিলার উপর সমীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে অধিকাংশ মহিলাই তাঁদের 'স্তনের আকার' নিয়ে অসন্তুষ্ট। মহিলাদের ৩১ শতাংশ 'ছোট স্তনে'র পক্ষে। ৪৪ শতাংশ মহিলা আবার চান 'বড় স্তন'। অন্যদিকে, ৩৩ শতাংশ মহিলার দাবি, তাঁরা নিয়মিত 'স্তন পরীক্ষা' করান না। এদের অধিকাংশই 'আকারে ছোট স্তনে'র অধিকারী।


গবেষকদের বক্তব্য, কোনও মহিলার নিজের স্তন সম্পর্কে স্পষ্ট 'ধারনা' থাকলে, সেখানে কোনও পরিবর্তন ঘটলে তিনি সহজেই তা বুঝতে পারেন। গবেষক বীরেন স্বামীর দাবি, মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে দেখা গিয়েছে, স্তনের আকার নিয়ে কারও কোনও অসন্তুষ্টি থাকলে তিনি নিজের স্তন পরীক্ষা করান খুবই কম। এমনকী কোনও পরিবর্তন ঘটলে চিকিৎসকের কাছে তাঁরা অনেক দেরিতে গিয়ে পৌঁছন। ফলে ক্যান্সারের মতো রোগের ক্ষেত্রে তা ধরা পড়তে অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। আর তাই বহুক্ষেত্রেই প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে ব্রেস্ট ক্যান্সার।