নিজস্ব প্রতিবেদন: জনসন অ্যান্ড জনসন। শিশুদের ব্যবহারের জন্য পাউডার থেকে সাবান, সব বাবা-মায়ের এক নম্বর পছন্দ। সেই জনসনের টেলকম পাউডার থেকে এবার ছড়াল ক্যানসারের আতঙ্ক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সরকারের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে প্রথম প্রশ্ন উঠেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তার পরই নড়েচড়ে বসেছে এদেশের ড্রাগ রেগুলটর কর্তৃপক্ষ। তারা বুধবারই এই সংস্থার টেলকম পাউডারের নমুনা সংগ্রহ করেছে। নেওয়া হয়েছে ওই পাউডার তৈরির সামগ্রীর নমুনাও।


আরও পড়ুন: নিঃশব্দে অস্টিওপোরোসিস আপনার হাড়ের সর্বনাশ করছে না তো!


এছাড়া এর জন্য গঠন করা হয়েছে ১০০ জনের একটি দল। ওই দলে ড্রাগ ইনস্পেক্টররা থাকছেন। বুধবার থেকেই তাঁরা দেশজুড়ে অভিযানে নামছেন। তাঁরা ওই পাউডার তৈরির পদ্ধতি খতিয়ে দেখবেন। পাইকারি ব্যবসায়ী ও ডিস্ট্রিবিউটরদেরও কাছেও তাঁরা যাবেন। সব ধরনের পাউডারের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হবে।


বিষয়টি সামনে আসার পর মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই ঠিক হয় যে বুধবার সকাল থেকেই এ নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে।


প্রসঙ্গত, এর আগে জুলাই মাসে প্রথম এই বিতর্ক সামনে আসে। তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির একটি আদালত জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থাকে জরিমানা করে। ২২ জন মহিলাকে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে বলে। ওই মহিলারা জনসনের প্রোডাক্ট ব্যবহারের জেরে জরায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন: এই ৭ ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে চিনতে পারা প্রায় অসম্ভব!


যদিও ওই সংস্থার তরফে গোটা বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছিল। কিন্তু সংবাদসংস্থা রয়টার্সের তদন্তে ফের বিষয়টি উঠে আসে। এর জেরে গত শুক্রবার জনসনের শেয়ারের দামে পতন হয়। গত ১৫ বছরে এই প্রথমবার জনসনের শেয়ারের দাম পড়ল।


এমাসের গোড়ায় কানাডা থেকেও পাউডারের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তারা জানিয়েছিল, পাউডার ব্যবহার থেকে হতে পারে ক্যানসার ও ফুসফুসের সমস্যা।


আরও পড়ুন: শীতে ঘাড়-কোমর-পা ব্যাথ্যা, ওষুধ না খেয়ে সারবে কীভাবে?


জনসনের বেবি পাউডার বাজারে যথেষ্ট জনপ্রিয়। অন্যগুলির তুলনায় ১৩ শতাংশ পাউডার বিক্রি হয়। ফলে এমন একটি জনপ্রিয় সংস্থা সম্বন্ধে এই মারাত্মক প্রশ্ন ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে।