দ্বিতীয় দফায় বেসরকারি হাসপাতালে টিকার দাম পড়বে ২৫০ টাকা, সঙ্গে সার্ভিস চার্জ
১ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দ্বিতীয় দফায় চাইলে যে বেসরকারি হাসপাতাল থেকেও করোনার ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) নেওয়া যাবে, তা ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই। কত খরচ পড়বে? এবার সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালে করোনার টিকার জন্য সর্বোচ্চ আড়াইশো টাকা নেওয়া যাবে। এর সঙ্গে পরিষেবা খরচ বাবদ যুক্ত হবে আরও ১০০ টাকা। সবমিলিয়ে দিতে হবে সাড়ে তিনশো টাকা।
চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীর মতো প্রথমসারির করোনা যোদ্ধার (Frontline Covid Warriors) ভ্যাকসিন পেয়েছিল প্রথম দফায়। ১ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফায় টিকাকরণ (Vaccination)। এবার কোভিড টিকা পাবেন ষাটোর্ধ্ব ও বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত ৪৫ বছরের বেশি বয়সীরা। আরোগ্য সেতু ও Co-WIN 2.0 পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করে নিজের সুবিধা মতো ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে। হাসপাতালে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থাও থাকছে। তবে শুধুমাত্র পরিচয়পত্র থাকলেই হবে না, বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন এবং যাঁদের বয়স ৪৫-র উর্ধ্বে, তাঁদের চিকিৎসকের দেওয়া সার্টিফিকেটও নিয়ে যেতে হবে। এদিন কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, ১ মার্চ অর্থাৎ সোমবার থেকে আয়ুষ্মান ভারতে প্রকল্পে ১০ হাজার হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকার যদি চায়, সেক্ষেত্রে সরকারি স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের নথিভুক্ত সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে টিকাকরণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন: রাজ্যের জন্য ভ্যাকসিনের বরাত বাড়ান, Modiকে চিঠি Mamataর
প্রসঙ্গত, রাজ্যে দ্বিতীয় দফায় টিকাকরণে শুরু আগে ভ্যাকসিনের বরাত বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। চিঠিতে মমতা লিখেছেন, 'আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ মানুষ ভ্যাকসিন না নিয়েই বুথে যেতে বাধ্য হবেন। আমরা প্রত্যেককে দ্রুত টিকাকরণ প্রকল্পের আওতায় আনতে চাই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার প্রত্যেকের জন্য ভ্য়াকসিন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্য নির্দিষ্ট সংস্থা থেকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন কিনতে চায়। এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছি'। এদিন দ্বিতীয় দফায় করোনা টিকাকরণ নিয়ে, প্রথমে ক্যাবিনেট সচিব, ও পরে জেলাশাসক এবং স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।