জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের করোনার চোখরাঙানি চিনে (China) । জনপ্রিয় পর্যটন শহর সানিয়ায় সংক্রমণ বাড়ায় কড়া লকডাউনের (Lockdown) পথে হেঁটেছে চিনের প্রশাসন, ফলে বিপদে পড়েছেন প্রায় ৮০ হাজার পর্যটক। ২০২১ এ করোনার (Corona) বাড়বাড়ন্তের সময়ে সেখানে মাত্র দু'টি করোনা পজিটিভ কেস দেখা গেছে। সম্প্রতি হঠাৎই সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার ৬ অগস্ট সানিয়া শহর লকডাউন ঘোষণা করে এবং পরিবহন ব্যবস্থাও বন্ধ করে দেয়। প্রায় ৮০ হাজার পর্যটক তখন সমুদ্র উপকূলে সেই দ্বীপের মনোরম মরশুম উপভোগ করছিলেন। অনুমান করা হচ্ছে, আগামী শনিবার পর্যন্ত তাঁরা এই উপকূলীয় দ্বীপের হোটেলগুলিতে আইসোলেশনে থাকবেন। এই বিষয়ে সানিয়া শহরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পর্যটকদের যদি ৫টি কোভিড-১৯ পরীক্ষা নেগেটিভ আসে, আগামী শনিবার তাঁরা দ্বীপ থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন। সানিয়া কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে যেসব পর্যটকের ফ্লাইট বাতিল হয়েছে তাঁরা অর্ধেক মূল্যে হোটেল বুক করতে পারবেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


এক পর্যটক যিনি ব্যবসায়িকসূত্রে চিন থাকেন, সানিয়াতে হানিমুনে এসেছিলেন। তিনি জানান, আটকে পড়া পর্যটকরা বহু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, যার মধ্যে অতিরিক্ত ফুড ডেলিভারি ফি,হোটেলে অতিরিক্ত খাবারের মূল্য এবং হাইনান থেকে বাইরে যাওয়ার ফ্লাইটের বিশাল ভাড়া পর্যটকদের বিড়ম্বনায় ফেলছে। ইতিমধ্যে সানিয়া ১ অগস্ট থেকে ৭ অগস্ট মধ্যে কোভিড-১৯ এর ৯৭১ টি কেস রেকর্ড করেছে।চিনের কোভিড শূন্য নীতির সর্বশেষ পদক্ষেপ হল হাইনানের আউটব্রেক সামলানো। এমনিতেও বেজিংয়ের মতে সাংহাইতে মহামারি পরিচালনার ব্যবস্থাপনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো অন্যান্য দেশের তুলনায় কঠোর ছিল। চিন অতিমারীর কারণে কঠোর কোয়ারেন্টাইন নিয়ম মানতে গত আড়াই বছর ধরে বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসা বন্ধ করে দিয়েছিলো। হাইনানও উল্লেখযোগ্যভাবে এই মহামারীর কারণে বিদেশী পর্যটকদের জন্য বন্ধ ছিল। সূত্র অনুসারে চিনের দেশি ট্যুরিস্টরা মহামারীর সময় হাইনানের পর্যটনশিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছিলো।


আরও পড়ুন: Coronavirus: দেশে করোনা আক্রান্ত ১৯ হাজারের বেশি, কোভিড কোপে প্রাণ হারালেন ৪৯


নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোয় চিনের অর্থনীতিতে বিরাট নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা। এদিকে বিশ্বের নজরও চিনের দিকে। কারণ, চিন কতটা দক্ষতার সঙ্গে নতুন সংক্রমণ সামাল দিতে পারে, তার উপর নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।  এর আগেও চলতি বছরের মার্চ মাসে কোভিডের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি নিয়েছিল চিন। অর্থাৎ, কোথাও কোনও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লেই সেই অংশে লকডাউন করা হচ্ছে। চিন প্রশাসনের তরফে কঠোরভাবে করোনাবিধি মেনে চলার নির্দেশ জারি করা হয়েছিল সেইসময়। বাড়ি থেকে বের হলেই  প্রত্যেককে করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ছাড় ছিল শুধু জরুরি পরিষেবায়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)