মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: বর্ষার শুরু হতেই ফের ডেঙ্গির দাপট! রাজ্যে ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে ডেঙ্গি! জেলায় জেলায় বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে ডেঙ্গির প্রকোপে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে আজ ফের স্বাস্থ্যভবনের তরফে জারি করা হল এক বিশেষ নির্দেশিকা। কী বিষয়ে সেই নির্দেশিকা? স্বাস্থ্যভবনের তরফে জারি করা নয়া নির্দেশিকায় সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে, কোন কোন উপসর্গ দেখে ডেঙ্গির টেস্ট করাতে হবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোন কোন উপসর্গ দেখলেই ডেঙ্গির টেস্ট:
১) ২-৭ দিনের জ্বর


২) সঙ্গে মাথার যন্ত্রণা


৩) গায়ে হাতে পায়ে ব্যথা


৪) অসম্ভব দুর্বলতা


৫) শরীরে লাল Rash


৬) অক্ষিকোটরে যন্ত্রণা 


৭) শরীরের কোনও অংশে রক্তক্ষরণ


উপরের উপসর্গগুলো দেখতে পাওয়া গেলে অবিলম্বে ডেঙ্গি টেস্ট করাত হবে। একইসঙ্গে যদি কোনও রোগীর জ্বরের সঙ্গেই ভাইটাল অর্গ্যানে কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে তাঁকেও অবিলম্বে ডেঙ্গি টেস্ট করতে হবে। পাশাপাশি, নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে যদি দুদিনের বেশি ধূম জ্বর থাকে, সেক্ষেত্রে উপরের উপসর্গ না থাকলেও, যদি ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য সমস্যা রুল আউট করা হয়ে গিয়ে থাকে তাহলেও অবশ্য ডেঙ্গির টেস্ট করাতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন ক্ষেত্রে কোন টেস্ট -


১) জ্বরের প্রথম ৫ দিনের মধ্যে এনএস-১ এলাইজা


২) জ্বর যদি ৫ দিনের বেশি থাকে, তাহলে আইজিএম এলাইজা 


আর যদি রোগীর জ্বর আসার অন্য কোনও নিশ্চিত কারণ না থাকে, তাহলে সব জ্বরের রোগীকেই ম্যালেরিয়া টেস্ট করাতে হবে। যেখানে ল্যাব টেকনিশিয়ান আছেন, সেখানে মাইক্রোস্কপি টেস্ট করাতে হবে। আর যদি ল্যাব টেকনিশিয়ান না থাকেন বা আপৎকালীন পরিস্থিতি হয়, সে ক্ষেত্রে Rapid ডায়গনস্টিক কিট ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, গতকাল নবান্নে ডেঙ্গি-বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পর ২৪ ঘণ্টা ফিভার ক্লিনিক সহ ডেঙ্গি মোকাবিলায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়।


নবান্নে ডেঙ্গি-বৈঠকে জারি নির্দেশিকা
---------------------------------------------------

* গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং নজরদারির জন্য বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞদের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
* অগস্ট থেকে মাসে ২ বার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে হবে।
* শহর এবং তার আশে পাশের এলাকায় পরিচ্ছনতার উপর বিশেষ নজর দিতে হবে।
* কেন্দ্রীয় সরকারি এলাকা যেমন, রেল, পোর্ট, প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হবে।
* ২ দিনের বেশি জ্বর থাকা সমস্ত ব্যক্তি যাতে ডেঙ্গি টেস্ট করান সেটা নিশ্চিত করবেন কমিউনিটি হেলথ অফিসারেরা। 
* মশানিরোধে সক্ষম ১ লক্ষ বিশেষ মশারি দেওয়া হবে ডেঙ্গি কবলিত এলাকার মানুষদের।
* জেলাশাসকরা নিয়মিত রিভিউ বৈঠক করবেন নিজের নিজের জেলায়।


উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যভবনের তরফে আগেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্লেটলেট সংক্রান্ত গাইডলাইন জারি করা হয়। কারণ, রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়লেই প্লেটলেটের আকাল দেখা দেয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাই গাইডলাইন জারি করেছে স্বাস্থ্যভবন। গাইডলাইনে বলা হয়েছে-
১) রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট ১০ হাজারের নীচে গেলে প্লেটলেট দেওয়া যাবে।
২) যেসব রোগীদের প্লেটলেট কাউন্ট ১০ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে, সেক্ষেত্রে রক্তপাত না হলে প্লেটলেট দেওয়ার  প্রয়োজন নেই।
৩) কোন গ্রুপের প্লেটলেট প্রয়োজন, তা প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করতে হবে।


আরও পড়ুন, Conjunctivitis: চোখে এই অসুবিধা হওয়ার অর্থই কনজাংটিভাইটিস? কী উপায়ে আটকানো যাবে এই রোগ?



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)