নিজস্ব প্রতিবেদন: জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’-এ (Man vs. Wild) অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক এডওয়ার্ড মাইকেল গ্রিলস কী-ই না খান! কখনও সাপ, কখনও বিছে। ঝিঁঝিঁ পোকা তো হামেশাই খেতে দেখা যায় বিয়ার তাঁকে। ক্যামেরার সামনে এগুলিকে ধরে টপাটপ মুখে পুরে দেন তিনি। গ্রিলসকে এই অখাদ্য-কুখাদ্য খেতে দেখে নাকমুখ কুঁচকে ফেলেন অনেকেই। বিয়ার গ্রিলসকে প্রকৃত অর্থেই ‘সর্বভুক’ বলে মেনে নিয়েছেন অনেকে! কিন্তু গ্রিলসের মতো সাপ, ব্যাঙ না খেলেও সুস্বাস্থ্যের জন্য ঝিঁঝিঁ পোকা আপনিও খেয়ে দেখতে পারেন। এর স্বাদ ভাল লাগবে কিনা জানা নেই, তবে সুস্বাস্থ্যের জন্য ঝিঁঝিঁ পোকা অত্যন্ত উপকারি তা জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মার্কিন পরিবেশ বিজ্ঞানী গবেষক ভ্যালেরি স্টাল দাবি করেন, অনেক দেশেই নিয়মিত পোকা খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। প্রোটিনের উৎস হিসাবে গবাদি পশুর তুলনায় পোকা অনেক সহজলভ্য এবং পরিবেশবান্ধবও বটে। শুধু তাই নয়, পোকা খাওয়াটা বেশি স্বাস্থ্যকর! এতে পেটের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। ভ্যালেরি জানান, তাঁর যখন ১২ বছর বয়স তখন প্রথম এই পোকার স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি। ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নাল’-এ প্রকাশিত নিজের গবেষণাপত্রে এমনটাই জানান গবেষক স্টাল।



স্টাল জানান, এই গবেষণার জন্য ১৮ থেকে ৪৮ বছর বয়সী ২০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে দু’সপ্তাহ ধরে খাবার দেওয়া হয়। তাঁদের এক অংশকে ঝিঁঝিঁ পোকা গুঁড়ো মেশানো জলখাবার দেওয়া হয়, অন্য অংশকে সাধারণ জলখাবার দেওয়া হয়। এর পরে দু’সপ্তাহ সবাইকে সাধারণ খাবার দেওয়া হয়। এর পর আবার দুই সপ্তাহ কাউকে পোকা মেশানো খাবার আর কাউকে সাধারণ খাবার দেওয়া হয়। তাঁদের সবার রক্ত ও মলের নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং পেটের স্বাস্থ্য নিয়ে কিছু প্রশ্ন করা হয়। গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, পোকা মেশানো খাবার খাওয়ার ফলে স্বেচ্ছাসেবীদের স্বাস্থ্যে কোনও খারাপ প্রভাব পড়েনি। তবে তাঁদের পেটে ‘বাইফিডো ব্যাকটেরিয়াম অ্যানিমালিস’ নামের একটি এনজাইম এবং ক্যান্সার ও অবসাদের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রোটিন ‘টিএনএফ-আলফা’-র পরিমাণে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।


আরও পড়ুন: প্রতিদিন ঠিক কতটা জল খাওয়া উচিত, জেনে নিন সহজে, হিসেব কষে


গবেষণায় দেখা যায়, ঝিঁঝিঁ পোকা মেশানো খাবার খেলে এই এনজাইমের পরিমাণ বাড়ে এবং প্রোটিনের পরিমাণ কমে। এনজাইমটি পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ফলে ধরে নেওয়া হয় ঝিঁঝিঁ পোকার গুঁড়ো মেশানো খাবারটি পেটের জন্য উপকারী। বিষয়টিতে আরও সুনিশ্চিত হতে এই পরীক্ষাটি আরও বেশি সংখ্যক মানুষের ওপর করে দেখতে হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা। আর এর ফলাফলও আশানুরূপ হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।