নিজস্ব প্রতিবেদন: টিকাকরণ কর্মসূচীর সঙ্গে জড়িত সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। টিকাকরণ কর্মসূচী নিয়ে একাধিক নিয়ম জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ১০০ জনের বদলে প্রতিদিন ২০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।  যাতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়। প্রসঙ্গত, দু-দফার ভ্যাকসিন শেষে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যায়নি। যার জন্য অবশ্য দায়ী করা হয়েছে Co-Win অ্যাপকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন দ্বিতীয় দিনেও টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা থেকে দূরে থাকল রাজ্য?  স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানানো হচ্ছে, এর পিছনে অনেকাংশেই দায়ী কো উইন পোর্টাল। রবিবার বিকেলের পর থেকে কো উইল পোর্টাল মোটামুটি কাজ করতে শুরু করলেও, ঝুঁকি না নিয়ে অফলাইনেও যাতে টিকা দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করে রেখেছিল স্বাস্থ্যদফতর। আবার অনেকের কাছে পোর্টাল থেকে চলে যায় মেসেজ। তার মধ্যে শনিবারই টিকা পেয়েছেন এমন লোকও আছেন বলে খবর। এর জেরেই কিছু সংখ্যক টিকাগ্রহণকারী কম এসে থাকতে পারেন বলে আপাতত মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।


আরও পড়ুন: কারা কোভ্যাক্সিন নিতে পারবেন না? জানিয়ে দিল ভারত বায়োটেক


কাজেই, এই সমস্যা যাতে আগামী দিনে না হয়, তারজন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করা হল। 


  • অফলাইন মোডে সুবিধাভোগীদের তালিকা গ্রহণযোগ্য নয় এবং সহজেই মঞ্জুরিপ্রাপ্ত হবে না।

  • আপনি যদি অফলাইন মোডে কাউকে ভ্যাকসিন দিয়ে থাকেন, তাদের ডেটা যথাযথভাবে co-win পোর্টালের নির্দিষ্ট স্থানে যথাযথভাবে আপলোড করা উচিত।

  • সুবিধাভোগীদের তালিকা আগাম চূড়ান্ত করে পোর্টালে তুলতে হবে।  

  • একইসঙ্গে পরবর্তী চার দফার টিকাকরণ কর্মসূচীতে ভ্যাকসিন নেওয়ার তালিকা তৈরি করতে হবে।

  • পোর্টালে ২০০ জনের তালিকার সঙ্গে রাখতে হবে ড্রপ-আউট হার ও তার কারণ। 

  • দুপুর ১২ টার আগে সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকতে হবে প্রতিটি কেন্দ্রকে। 

  • যাঁরা সুবিধাভোগী, তাদের ফোন করে নির্দিষ্ট সময় বলে দিতে হবে। কখন কোথায় আসবে তার জন্য যথাযথ খাতায় কলমে প্রস্তুত রাখতে হবে তালিকা। পাশাপাশি তাদের ফোন করে অ্যালার্ট রাখতে হবে আগে থেকেই। 

  • কলকাতা সহ জেলায় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে। 

  • যদি Co-Wing  পোর্টালে ডেটা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়, তাহলে টেকনিকাল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। 

  • শুক্রবার থেকে পরবর্তী দফার নতুন কেন্দ্র কাজ শুরু করবে। 

  • স্থানীয় সমস্যা ও জাতীয় ছুটি ছাড়া, প্রতি সপ্তাহে চার দিন করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।