নিজস্ব প্রতিবেদন: দ্রুত চরিত্র বদলাচ্ছে করোনাভাইরাস। তাই ৫-৬ মাসের পুরনো তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি প্রতিষেধক কতটা কার্যকর হবে সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দিহান বিজ্ঞানীরা। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে করোনার চিকিৎসা পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা জরুরি। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই ভাইরাসের চিকিৎসার নয়া উপায়ের খোঁজে গবেষণা চালাচ্ছেন ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ’ (ICMR)-এর গবেষকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি কী হতে পারে? সাপের কামড়ে গুরুতর অসুস্থ রোগীকে যেমন ‘অ্যান্টি স্নেক ভেনাম’ দিয়ে বাঁচানো হয়, ঠিক তেমন ভাবেই করোনা রোগীকে সুস্থ করে তোলার ক্ষেত্রে অ্যান্টিসেরাম প্রয়োগের কথা ভাবছেন ICMR-এর গবেষকরা।


অ্যান্টিসেরাম কী?


অ্যান্টিসেরাম হল বহুকোষী অ্যান্টিবডির সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ রোগ প্রতিরোধী কোষ যা বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে পরোক্ষ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়ক। এটা অনেকটা প্লাজমা থেরাপির মতোই। গবেষকদের দাবি, পরিস্রুত অ্যান্টিসেরাম যদি করোনা আক্রান্তের শরীরে প্রয়োগ করা যায়, তাহলে ভাইরাসের বিরুদ্ধে সহজেই প্রতিরোধ গড়ে উঠবে। শরীরে থাকা অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।


জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO)-এর থেকে এই গবেষণার অনুমতি মিলেছে। ICMR-এর গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা নতুন নয়। ধনুষ্টঙ্কার (Tetanus), জলাতঙ্ক, হেপাটাইটিস-বি অথবা ডিপথেরিয়ার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়েই চিকিৎসা করা হয়। তবে করোনার চিকিৎসায় অ্যান্টিসেরাম প্রয়োগের কথা এই প্রথম ভাবা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: মাত্র ১৫ সেকন্ডেই করোনা জীবানু ধ্বংস করতে পারে সহজলভ্য উপাদানে তৈরি এই দ্রবণ! দাবি বিজ্ঞানীদের


অ্যান্টিসেরাম থেরাপি কাজে লাগিয়ে করোনার চিকিৎসায় কতটা সাফল্য মিলবে, তা জানতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষার প্রয়োজন। কারণ, এ নিয়ে এখন গবেষণা, ট্রায়াল চলছে। তবে এই গবেষণা সফল হলে করোনা চিকিৎসার নতুন দিক খুলে যাবে বলে আশা ICMR-এর গবেষকদের।