নিজস্ব প্রতিবেদন: হায়দরাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) তৈরি COVAXIN এবং আহমেদাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলার (Zydus Cadila) ZyCov-D— এই দু’টি করোনা প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। এর মধ্যে Covaxin-এর গবেষণা ও ট্রায়ালের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ’-এর (ICMR) গবেষকরা। এরই মধ্যে করোনা চিকিৎসায় সহজলভ্য, বিকল্প প্রতিষেধকের কার্যকারিতা সম্পর্কে গবেষণা শুরু করতে চান ICMR-এর গবেষকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি মার্কিন বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স’ (Proceedings of the National Academy of Sciences)-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে, যক্ষার প্রতিষেধক প্রয়োগ করে করোনায় মৃত্যুর হার অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে! এই গবেষণা সম্পর্কে গবেষক দলের প্রধান ভার্জিনিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লুইস এস্কোবার (Luis Escobar, Virginia Polytechnic Institute) জানান, আশঙ্কাজনক করোনা রোগীদের উপর যক্ষার প্রতিষেধক প্রয়োগ করে মৃত্যুর হার প্রায় ১০.৪ শতাংশ পর্যন্ত কমানো গিয়েছে।


এ বার মার্কিন গবেষকদের দেওয়ার তথ্যের উপর নির্ভর না করে নিজেরাই এ বিষয়ে সবিস্থারে গবেষণা করে দেখে নিতে চাইছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ-এর গবেষকরা। জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান এবং দিল্লি থেকে নির্বাচিত ষাটোর্ধ্ব প্রায় ১,৫০০ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবকের উপর যক্ষার প্রতিষেধক প্রয়োগ করে দেখবেন বিজ্ঞানীরা। ১৫ জুলাই থেকে চেন্নাইতে এই ট্রায়াল শুরু হচ্ছে। বয়স্ক করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর হার কমাতে এবং সুস্থতার হার বাড়াতে কতটা কার্যকর বিসিজি টিকা (যক্ষ্মা বা কুষ্ঠরোগের প্রতিষেধক), সেটাই এই ট্রায়ালের মাধ্যমে দেখে নিতে চায় ICMR।


আরও পড়ুন: ৭ দিনের মধ্যে ভারতে অক্সফোর্ডের করোনা টিকার ট্রায়াল শুরু করতে চায় সিরাম ইনস্টিটিউট!


এর আগে, জুন মাসের শুরুতে ভারতীয়দের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে AIIMS-এর ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া জানান, ভারতীয়দের প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। কারণ, বেশির ভাগ নাগরিকদেরই বিসিজি টিকা (যক্ষ্মা বা কুষ্ঠরোগের প্রতিষেধক) নেওয়া আছে। এ বার এই ধারণা আর মার্কিন বিজ্ঞানীদের দাবিকে পরখ করে দেখে নিয়ে চাইছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ-এর গবেষকরা।