নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে ৯ হাজার ৫২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ১১ হাজার ৫০২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু এখনও চরম সঙ্কটের সম্মুখীন হয়নি ভারত। নভেম্বরে চরমে পৌঁছাবে ভারতের করোনা সংক্রমণ! আরও সঙ্কটজনক হবে পরিস্থিতি। দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানায়, এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য নাকি উঠে এল ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ’-এর (ICMR) গবেষণায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

‘দ্য হিন্দু’, ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র মতো প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৪ দিনের পরিবর্তে ৭৬ দিনের লকডাউন জারি করা উচিত বলে মনে করেন ICMR-এর গবেষকরা। না হলে নভেম্বরে ভারতে করোনা সংক্রমণ ৬০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯৭ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে। ICMR-এর গবেষকদের ব্যাখ্যা, লকডাউন না থাকলে করোনা সংক্রমণ প্রায় ৮৩ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। তাঁদের দাবি, জুলাইতেই দেশের করোনা পরিস্থিতি চরমে পৌঁছে যেতে পারত। তবে লকডাউন দীর্ঘায়ীত করার ‘সুফল’ হিসাবে এই সঙ্কটকে মাস খানেক পিছিয়ে দেওয়া গিয়েছে।


ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দেশের হাসপাতালগুলিকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ’-এর (ICMR) পক্ষ থেকে। তাই আসন্ন বিপদের কথা মাথায় রেখে হাসপাতালগুলির আইসিইউতে বেডের সংখ্যা বাড়ানো উচিত বলে মনে করছেন ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ’-এর গবেষকরা।



আরও পড়ুন: হঠাৎ করে স্বাদ আর ঘ্রাণশক্তি হারিয়েছেন? করাতে হতে পারে করোনা পরীক্ষা!


তবে সংবাদমাধ্যগুলিতে ICMR-এর গবেষকদের যে সমীক্ষার উল্লেখ করা হয়েছে, তা অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছে খোদ ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ’ (ICMR)। এই ধরনের কোনও তথ্য তাঁদের কোনও সমীক্ষা থেকেই উঠে আসেনি বলেও জানিয়েছে সংস্থা।