নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘর পরিষ্কারের দায়িত্ব নিতে পারেন না। কারণ, ধুলোবালি নাকে গেলেই বিপদ! রাস্তাঘাটেও খুব সাবধানে চলাফেরা করতে হয়। সেখানেও ধুলোবালি কোনও রকমে নাকে, মুখে একবার ঢুকলেই শুরু হয়ে যাবে হাঁচি, কাশি! শুধু ধুলোবালি থেকেই নয়, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ কোনও ঘরের গন্ধ বা পুরনো বইয়ের গন্ধ নাকে গেলেও একই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এর কারণও অবশ্য সেই জমে থাকা ধুলো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ধুলোবালির থেকে অ্যালার্জি থাকলে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক! অ্যালার্জির কারণে অনেকেরই হাঁচি, কাশি ছাড়াও চোখ-নাক থেকে অনবরত জল পড়ার সমস্যাও হয়ে থাকে। অনেকের শ্বাসকষ্ট বা ত্বকে র‌্যাশও দেখা যায় একই কারণে। আসলে এগুলি ডাস্ট অ্যালার্জির অন্যতম লক্ষণ! যাঁরা ভুক্তভুগী তাঁরা জানেন, শরীর একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে অ্যালার্জির জ্বালায়। বেশির ভাগ মানুষই এই পরিস্থিতিতে চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে বা নিজে থেকেই স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধ খেয়ে সমস্যার উপশমের চেষ্টা করেন। তবে এমন অনেক খাদ্য উপাদান রয়েছে যেগুলি অ্যালার্জির সমস্যার মোকাবিলায় অত্যন্ত কার্যকর! যাদের প্রায় প্রতিদিন এই রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তাঁরা অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধের এই বিকল্পগুলি কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। উপকার পাবেন...


১) সবুজ শাক-সবজি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে অ্যালার্জির প্রবণতা কমাতেও সাহায্য করে। সবুজ শাক-সবজি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজের (মিনারেল) যোগান দেয়।


২) গ্রিন টি-এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান অ্যালার্জির সমস্যার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। চোখে লাল ভাব, র‌্যাশ বেরনো ইত্যাদি রুখতে এটি অত্যন্ত কার্যকর।


৩) ঘি প্রাকৃতিক ভাবে যে কোনও ধরনের অ্যালার্জির সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম। এক চামচ ঘি তুলোয় লাগিয়ে সরাসরি র‌্যাশে আক্রান্ত ত্বকে লাগান। ত্বকের জ্বালা ভাব, অস্বস্তি অনেকটাই কমে যাবে। প্রতিদিন ১ চামচ করে ঘি খেতে পারলে ঠান্ডা লাগা বা অ্যালার্জির সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমবে।


আরও পড়ুন: কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে কোলেস্টেরল, নিয়ন্ত্রণে রাখবে থোড়!


৪) মাথা যন্ত্রণা, বন্ধ নাক, চোখ-নাক দিয়ে জল পড়া ইত্যাদির সমস্যায় একটি পাত্রে গরম জল নিয়ে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল ফেলে তার ভাপ (ভেপার) নিন। এতে বন্ধ নাক খুলে যাবে, নাকের ভিতরে অ্যালার্জির কারণে হওয়া অস্বস্তিও কমে যাবে।


উল্লেখিত উপায়গুলি আধুনিক চিকিত্সাশাস্ত্রে পরীক্ষিত নয়। এগুলি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত ঘরোয়া টোটকা মাত্র যা আপনাকে এই সমস্যা থেকে সাময়িক ভাবে মুক্তি দিতে পারে। তাই ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যায় যখন তখন অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধ না খেয়ে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।