নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের রূপ বদলেছে করোনা। দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ হিসেবে যে স্ট্রেনকে চিন্থিত করা গিয়েছিল তা হল বি.১.৬১৭। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এই স্ট্রেন অতি সংক্রামক। এবার সেই স্ট্রেন নিজের রূপ বদলে তৈরি হয়েছে B.1.617.2.1, দাবি দিল্লির সিএসআইর ইনস্টিটিউট অব জিনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির বিজ্ঞানী বিনোদ স্কারিয়ার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই বি.১.৬১৭ স্ট্রেনের নাম দিয়েছে ডেল্টা। জিনোম সিকোয়েন্সে নতুন যে স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে, সেটি স্ট্রেন ডেল্টা প্লাস বা 'AY.1' (B.1.617.2.1) নামে পরিচিত। জিনোম সিকোয়েন্সিয়ে ধরা পড়েছে এর বৈচিত্র্য। এতে, K417N মিউটেশনকে চিন্থিত করা গিয়েছে।  তবে এই স্ট্রেন কতটা ক্ষতিকারক সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি গবেষকরা। 


আরও পড়ুন: প্রত্যেকদিন মৃত্যু হচ্ছে ১০ হাজার জনের, দ্রুত ভ্যাকসিন দিতে হবে: WHO প্রধান


দিল্লির সিএসআইর ইনস্টিটিউট অব জিনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির বিজ্ঞানী বিনোদ স্কারিয়ার দাবি, নয়া এই স্ট্রেন বি.১.৬১৭.২.১ ভাইরাসকে ভিতরে ঢুকতে সহজ করে এবং মানবদেহের কোষের ক্ষতি করে। ৬৩ টি ডেল্টার জিনোমে নতুন K417N ধরা দিয়েছে। ভারতে  ৭ জুন পর্যন্ত ৬ টি জিনোমে এই স্ট্রেনের দেখা মিলেছে। এবার ভারতে নয়, মূলত ইউরোপ, এশিয়া এবং আমেরিকায় দেখা গিয়েছে নয়া স্ট্রেনকে।  


আরও পড়ুন: নতুন Vaccine তৈরির দায়িত্ব নিতে চলেছে সেরাম, Corona দমনে কার্যকর ৯০ %
 


কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যদি ককটেল ইঞ্জেকশনের প্রতিরোধী অ্যান্টিবডিকে বাধা দিতে সক্ষম হয় নয়া স্ট্রেন ডেল্টা প্লাস, তাহলে আশঙ্কা বাড়বে। এই ইঞ্জেকশনের একটি ডোজের দাম প্রায় ৬০ হাজার টাকা। যা প্রয়োগে ভারতে একদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়েছেন ৮২ বছরের এক বৃদ্ধ। ককটেল ইনজেকশন করোনা ভাইরাসের বংশবিস্তারের প্রক্রিয়াকে থামিয়ে দেয় ৷ আর তাতেই কার্যক্ষমতা হারায় কোভিড ভাইরাস৷ শেষমেশ নষ্ট হয়ে যায় সেটি৷ এই নয়া স্ট্রেন অধিক সংক্রামক কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে আপাতত উদ্বেগজনক কিছু দেখছেন না গবেষকরা। 


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)