ওয়েব ডেস্ক : চোখ খারাপ হলে তো চশমা লাগবেই। এমনটাই তো হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে...। তাই আপনার বাচ্চাও চোখ খারাপ হলে চশমাই পড়ছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশ এখন বলছেন পুরো উল্টো কথা।
চোখে মাইনাস পাওয়ার। ডাক্তারের পরামর্শে আপনার সন্তানের চোখে উঠছে মোটা চশমা।  কিন্তু এই চশমা না হলে কী এমন ক্ষতি হত ওর? বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছে, চশমার আড়ালে আদতে চোখের ক্ষতিই বেশি হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


চশমায় ক্ষতি!


অনেক চিকিত্সকই বলছেন সারাদিনই মাইনাস পাওয়ারের চশমা পড়ে থাকতে। এমন কী সামনে থেকে বই পড়ার সময়ও। ইন্টার ন্যাশনাল মায়োপিয়া প্রিভেনশন অ্যাসোসিয়েশনের দাবি,এতেই বাড়ছে বিপদ। এমনকি চোখ নষ্টও হয়ে যেতে পারে! এতে অতিরিক্ত চশমা নির্ভর হয়ে উঠছে চোখ। এতে চোখের পাওয়ারতো কমছেই না উল্টে বাড়ছে। অতিরিক্ত চশমা নির্ভরতা নেশার মতো। চোখের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা অনেক ক্ষেত্রে নষ্ট করে দিচ্ছে চোখ। ব্রিটিশ সরকারের পরিসংখ্যাণ অনুসারে মায়োপিয়া অন্ধত্বের তৃতীয় বড় কারণ। দীর্ঘ দিন মাইনাস চশমা পড়লে তার প্রভাব সরাসরি পড়ছে রেটিনায়। এমনকি রেটিনা সরে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে।


তাহলে উপায়?  কীভাবে এই সমস্যা থেকে মিলবে মুক্তি।


ইন্টার ন্যাশনাল মায়োপিয়া প্রিভেনশন অ্যাসোসিয়েশনের গবেষকরা বলছেন বাচ্চা ক্লাসে বোর্ড দেখতে পারছে না বলেই চশমা দেওয়ার দরকার নেই। বোর্ডে বড় হরফে লেখা এই সমস্যা মেটাবে। ক্লাস রুমে বা বাচ্চার পড়ার জায়গায় পর্যাপ্ত আলো থাকা উচিত্। ঘর আর ক্লাস রুমে বন্দি না করে বাচ্চাকে খোলা প্রকৃতিতে নিয়ে যান। চোখের পক্ষে আরামদায়ক সবুজ গাছপালা দেখার অভ্যাস তৈরি করুন। চোখের কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়ামও ভাল ফল দিতে পারে। গাজর, সবুজ সবজি, ডিমের মতো জিনিস রাখুন খাদ্য তালিকায়। তবে, চিকিত্সকদের একাংশ এসব দাবি মোটেই মানছেন না। আমেরিকান আকাডেমি অফ অপথালমোলজির মতে মায়োপিকদের জন্য চশমাই বন্ধু। এ ছাড়া কোনও পথ নেই।


চোখ সব থেকে বড় সম্পদ। তাই ক্লাসের আর পাঁচ জনকে দেখে আপনার বাচ্চা চশমা চাইছে এমনটা ভাববেন না। অবহেলা করবেন না । সমস্যা হলেই চোখের ডাক্তারের কাছে যান।  পরামর্শ মতো ব্যবস্থা নিন।