নিজস্ব প্রতিবেদন: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধকটির উৎপাদনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ (AstraZeneca)। গত শুক্রবার বিবিসি রেডিও-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সংস্থার কার্যনির্বাহী প্রধান পাস্কাল সরিওট এ কথা জানান। উৎপাদনের গতি বাড়াতে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট-এর (Serum Institute of India) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে অ্যাস্ট্রা জেনিকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ বার অক্সফোর্ডের টিকা উৎপাদনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India)। মঙ্গলবার সংস্থার প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা আদর পুনাওয়ালা জানান, প্রতিষেধকটির উৎপাদনের জন্য ১০ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা) অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই প্রতিষেধক উৎপাদনের কাজও শুরু হয়ে যাবে। তবে প্রতিষেধকটির চূড়ান্ত পর্বের হিউম্যান ট্রায়ালের ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত এটির সুরক্ষা এবং কার্যকারিতার দিক বিবেচনা করে এটিকে বাজারে ছাড়া হবে না।


তাহলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধকটির চূড়ান্ত পর্বের হিউম্যান ট্রায়ালের ফলাফল না জেনেই এটির উৎপাদনের কাজ কী ভাবে শুরু করছে সংস্থা? পুনাওয়ালা জানান, করোনা পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে জরুরি ভিত্তিতে করোনা টিকার জোগান দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে সংস্থা। এর জন্য নিজেরাই ঝুঁকি নিয়ে আপাতত কয়েক লক্ষ প্রতিষেধকের ডোজ তৈরি করে রাখছে সিরাম ইনস্টিটিউট।


আরও পড়ুন: শুরু হল অক্সফোর্ডের করোনার টিকার উৎপাদন! সেপ্টেম্বরে মধ্যেই মিলতে পারে ২০০ কোটি ডোজ


সিরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অক্সফোর্ডের টিকার উৎপাদনের আগাম প্রস্তুতির ফলে ভবিষ্যতে লাভবান হবে ভারত ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশ। টিকা তৈরির পর মোট কত পরিমাণ ডোজ ভারত পাবে, সে কথা নির্দিষ্ট ভাবে বলা না গেলেও সরকারের নির্দেশ মেনে দেশের প্রথমিক প্রয়োজন মেটানোর পর অন্যান্য দেশে এই টিকা পাঠানোর কথা ভাবা হবে বলে জানান সংস্থার প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা আদর পুনাওয়ালা।