ওয়েব ডেস্ক: খাবারে মিষ্টি খাচ্ছেন না? চিনি ছাড়াই চা-কফি? সুগার থেকে বাঁচতে কৃত্রিম মিষ্টির বড়িতেই ভরসা? সাবধান! বিপদ সেখানেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁদের ডায়াবেটিস নেই, কৃত্রিম চিনি বেশি খেলে তাঁদের ডায়াবেটিসের সমস্যা হতে পারে। হতে পারে ওবেসিটি ও হার্টের সমস্যাও। দেখা দিতে পারে হজমের সমস্যাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিনি কম, চিনি কম করতে করতে একেবারে চিনি ফ্রি। কিন্তু মিষ্টি ছাড়া শরীর চলবে কী করে? বিশেষ করে যাঁদের হাই সুগার, ডায়াবেটিসের রোগীদেরও তো মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে। চিনি ছাড়া চা-কফি মানে তো টেস্টের দফারফা। কিন্তু সুগার থেকেও তো বাঁচতে হবে। তাই কৃত্রিম মিষ্টিই ভরসা।


নাহ্, তাতেও ভরসা নেই। সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মিষ্টির বদলে কৃত্রিম মিষ্টিতেও বিপদ। ডায়াবেটিস বা রোগা থাকার লোভে চিনি বাদ। তার জায়গায় কৃত্রিম চিনির বড়ি। চিনি নয়, তবে চিনির মতো মিষ্টি। এই বিকল্পের পক্ষপাতী নন চিকিত্সকরা। তাঁদের দাবি, এর থেকে চিনি ভাল। কারণ, কৃত্রিম চিনি তৈরি করতে যে যে উপকরণ ব্যবহার করা হয়, তা চিনির থেকে অনেক বেশি ক্ষতিকারক।


বিশেষজ্ঞদের দাবি, যাঁদের ডায়াবেটিস নেই, কৃত্রিম চিনি খেলে তাঁদের ডায়াবেটিসের সমস্যা হতে পারে। হতে পারে ওবেসিটি ও হার্টের সমস্যাও। দেখা দিতে পারে হজমের সমস্যাও।


কৃত্রিম চিনির বড়িতে থাকে সাধারণ চিনির থেকে ২০০ গুণ বেশি মিষ্টি অ্যাসপার্টেম। ডায়েট পানীয় থেকে বেকারি খাবারে অ্যাসপার্টেম পাওয়া যায়। অ্যাসপার্টেমের প্রায় ৯০টি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। মাথা যন্ত্রণা, অস্থিরতা, বুক ধড়ফড়ানি, ওজন বৃদ্ধি, হতাশা, স্নায়ুর সমস্যা।


কৃত্রিম চিনির বড়িতে থাকে সুক্রালোস। যা চিনির তুলনায় ৬০০ গুণ বেশি মিষ্টি। এটি বেশি ব্যবহারে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। অন্যতম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পেটে যন্ত্রণা ও ডায়ারিয়া।


কৃত্রিম চিনির বড়িতে থাকে স্যাকারিন। খুব বেশি কৃত্রিম চিনির বড়ি খেলে মাথা ব্যথা, হতাশার পাশাপাশি আরও অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। ইনসুলিন নিঃসরণ ঘটায় ও প্রয়োজনের বেশি খিদে তৈরি করে। চিনির বদল হতে পারে কৃত্রিম চিনির বড়ি। কিন্তু বেশি খেলে বিপদ। তাই সাবধান।