নিজস্ব প্রতিবেদন: মাতৃত্ব যে কোনও নারীর জন্যেই নিঃসন্দেহে একটি আনন্দদায়ক বিষয়। মেয়েরা অতুলনীয় পরিপূর্ণতা লাভের অনুভূতি পান গর্ভধারণের পরই। কিন্তু অনেক সময় কোনও কোনও মহিলা গর্ভধারণের বেশ কয়েক মাস বুঝেই উঠতে পারেন না যে তিনি গর্ভবতী কিনা! আর গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস গর্ভস্থ শিশুর নিরাপত্তার স্বার্থে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে থাকা অত্যন্ত জরুরি। তাই কোনও মহিলা গর্ভবতী কিনা একটু সতর্ক হয়ে কয়েকটি লক্ষণ মিলিয়ে নিলেই ঘরে বসেই নিশ্চিত হতে পারেন। জেনে নিন গর্ভধারণের লক্ষণগুলি চেনার সহজ উপায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

• গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণগুলি:


১) পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব কি নির্দিষ্ট সময়ে হয়েছে? প্রতিমাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে মহিলাদের পিরিয়ড হয়ে থাকে (সাধারণত ২৮ দিন পর পর)। সে ক্ষেত্রে, খেয়াল রাখুতে হবে আপনার পিরিয়ড ঠিক সময়ে হচ্ছে কিনা! যদি ২৮ দিন পর পিরিয়ড না হয়, তাহলে হয়তো আপনি গর্ভধারণ করেছেন। অন্যান্য লক্ষণগুলো মিলিয়ে নিতে পারেন তখন।


২) পিরিয়ডের সময় যদি স্বাভাবিক রক্তপাতের তুলনায় খুব সামান্য পরিমাণ রক্তপাত হয়ে বন্ধ হয়ে যায়, এই লক্ষণটিকে অবহেলা করবেন না। এটি হতে পারে গর্ভধারণের লক্ষণ।


৩) সাধারণত সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি প্রচন্ড দূর্বল, মাথা ঘোরা ও বিষন্ন লাগে এবং সেই সঙ্গে প্রায়ই হজমে সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য্য দেখা দেয়। হতে পারে, আপনার গর্ভধারনের অন্যতম লক্ষণ এটি।


৪) যদি হঠাৎ করে সারাক্ষণ নিজেকে ক্লান্ত মনে হয় এবং সময়ে অসময়ে কেবল ঘুমোতে ইচ্ছে করে, যা আপনার স্বাভাবিক দৈনিক রুটিনের বাইরে, তাহলে এই লক্ষণটিকে অবহেলা করবেন না। অন্যান্য লক্ষণগুলোর সঙ্গে এই লক্ষণটি জানিয়ে দেয় আপনি হয়তো গর্ভধারণ করেছেন।


৫) খেয়াল করুন, আপনি কি স্বাভাবিকের চেয়ে অধিকবার বা ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ অনুভব করছেন? গর্ভধারণের অন্যতম লক্ষণ এটি।


৬) গর্ভধারণ করার ফলে আপনার স্তনের আকৃতি কিছুটা বৃদ্ধি পাবে ও নিপল গাঢ় রং ধারণ করবে। খেয়াল রাখুন।


খ) গর্ভবতী কিনা তা নিশ্চিত হবার জন্যে:


সাধারণত ওষুধের দোকানগুলোতে উপলব্ধ প্রেগন্যন্সি পরীক্ষার স্ট্রিপ এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী। প্রথম পিরিয়ডের ডেট মিস করার পরদিনই এটি দিয়ে টেস্ট করুন। সাধারণত সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথম প্রস্রাবে স্ট্রিপটি ডুবিয়ে রেখে পরীক্ষাটি করা সম্ভব। বিস্তারিত নির্দেশাবলী, স্ট্রিপের প্যাকেটেই লেখা থাকে। সাধারনত প্রথম ১ মাসেই এটি ভাল নির্ণয়ের কাজ দেয়। আর এ থেকে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন আপনি গর্ভধারণ করেছেন কিনা। তবে যদি ফলাফল নেগেটিভ হয় আর সেই সঙ্গে আপনার পিরিয়ড বন্ধ থাকে, তাহলে কিছুদিন পর আবারও পরীক্ষা করুন। সব শেষে, আপনি যদি গর্ভধারণ করে থাকেন, তাহলে দেরী না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন সামনের দিনগুলোর জন্যে। আপনার ও আপনার গর্ভের সন্তানের সুরক্ষার জন্যে চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে চলুন।