চলতি বছরেই অতিমারীর শেষ? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্তায় আশ্বাস
টিকা এবং ওষুধের বিশাল বৈষম্য দ্রুত সমাধান করা গেলে এবছরেই অতিমারী শেষ হতে পারে৷
নিজস্ব প্রতিবেদন: ওমিক্রন ও করোনার জোড়া ধাক্কায় বেসামাল বিশ্ব। একাধিক দেশে এখনও রেকর্ডহারে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। সেই আবহে আশার কথা শোনালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এর ডাঃ মাইকেল রায়ান। মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত ভ্যাকসিন ইক্যুইটি নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন টিকা এবং ওষুধের বিশাল বৈষম্য দ্রুত সমাধান করা গেলে এবছরেই অতিমারী শেষ হতে পারে৷
ডেল্টা প্রজাতির জেরে অতিমারীর সবচেয়ে খারাপ সময় দেখেছে বিশ্ব৷ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি এবং লকডাউনে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগের হয়ে উঠেছে। যদিও এই ভাইরাসের শেষ হবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। ডাঃ রায়ানের কথায়, করোনা ভাইরাস বর্তমানে বাস্তুতন্ত্রের অংশ হয়ে গিয়েছে৷ তাই এই ভাইরাসকে সমূলে বিনষ্ট করা সম্ভব নয়৷ কিন্তু জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে অতিমারীর শেষ সম্ভব।
আরও পড়ুন, Coronavirus: ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশের করোনা গ্রাফ, দৈনিক মৃত্যু বাড়ল পাল্লা দিয়ে
এক্ষেত্রে ধনী এবং দরিদ্র দেশগুলির মধ্যে কোভিড-১৯ টিকার ভারসাম্যহীনতাকে একটি বিপর্যয়মূলক নৈতিক ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। নিম্ন আয়ের দেশগুলিতে ১০ শতাংশের-এরও কম লোক কোভিড ভ্যাকসিনের একটি ডোজ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন হু এর চিকিৎসক। এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য সরঞ্জামগুলি ন্যায্যভাবে ভাগ করা না হয় তবে ভাইরাস আরও ট্র্যাজিক রূপ নিতে পারে৷ মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তির হার কম করতে টিকাকরণেই ভরসা রাখার কথা জানিয়েছেন।
এদিকে, সোম ও মঙ্গলবার দেশের করোনা পরিসংখ্যানে কিছুটা স্বস্তি হলেও বুধবার ফের বাড়ল কোভিড৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৭০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৪১ জনের। পরিসংখ্যানের নিরিখে দেশে গতকালের থেকে ৪২ শতাংশ বাড়ল মৃত্যু, যা নিয়ে বাড়ল চিন্তা।