নিজস্ব প্রতিবেদন: মা হোক কিংবা স্ত্রী, বোন কিংবা প্রেমিকা, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই নারীরা নিজের থেকে অপরের দিকে নজর বেশি দেন। তাঁদের সুখ-শান্তি, স্বাস্থ্যের দেখভাল করেন। আর সে জন্যই অনেক ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হয় নারীদের স্বাস্থ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ভারতে পুরুষের তুলনায় নারীরা কিডনির অসুখে বেশি ভোগেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, ভারতে কিডনির ক্রনিক রোগে নারী-পুরুষ উভয়েই প্রচুর সংখ্যায় আক্রান্ত হন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে আবার মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় বেশি ভোগেন। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কিডনির অস্বাভাবিকতার সমস্যায় মহিলাদের আক্রান্ত হওয়ার হার ১১.৩৬ শতাংশ। অন্যদিকে, পুরুষদের মধ্যে কিডনির অস্বাভাবিকতার সমস্যা দেখা যায় ৯.৪৮ শতাংশ ক্ষেত্রে।


আরও পড়ুন : কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যায় ভুগলে এই খাবারগুলো একদম খাবেন না


ক্রনিক কিডনি ডিসিস (CKD)-এর উইকিপিডিয়া পেজ থেকে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস কিংবা বছর খানেকের উপর কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার পরই কিডনির হারানোর সম্ভবনা থাকে। কিডনির বড় রকম সমস্যা কখনই একদিনে হয় না। এটি বহু দিনের প্রক্রিয়া। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, উচ্চ কেলেস্টেরলের সমস্যাই কিডনির সমস্যার অন্যতম কারণ।


গুরুগ্রামের কলোম্বিয়া এশিয়া হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ দেশে বেশিরভাগ মহিলাকেই পরিবার এবং স্বামীর জন্য প্রতিকূল আর্থ-সামাজিক পরিবেশ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। পাশাপাশি, তাঁদের স্বাস্থ্যের সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষদের নজরও এড়িয়ে যায়। এছাড়াও, তাঁরা সবসময় যেকোনও জায়গায় শৌচালয় ব্যবহারের সুযোগ পান না। ফলে, জল কম খাওয়ার প্রবণতাও দেখা দেয়। দীর্ঘ সময় প্রস্রাব চেপে রাখতেও বাধ্য হন তাঁরা। ফলে, বহুদিন ধরে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতে কিডনিতে চাপ পড়ে এবং কিডনির নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। চিকিত্‌সকদের মতে, মহিলারা যখনই প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত, অতিরিক্ত ক্লান্তভাব, ঘুমের সমস্যা, বমি, মাথা ঘোরার সমস্যার মতো লক্ষণগুলি দেখবেন, সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্‌সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


আরও পড়ুন : কর্মরত মহিলারা কাজের পাশাপাশি কীভাবে নিজেদের সুস্থ এবং ফিট রাখবেন? জেনে নিন