ওয়েব ডেস্ক : খেতে বসে স্বাদ গায়েব! মিষ্টি-নোনতা-টক-ঝাল, কিছুই সেভাবে বুঝতে পারছেন না? বেশি করে তাই নুন-চিনি ঢালছেন খাবারে আর ভাবছেন, এই তো ঠিকই আছে! ALL IS WELL! কিন্তু মোটেই নয়। বরং কড়া নাড়ছে অসুখ। সাবধান!   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কথায় বলে, মনের ঠিকানায় পৌছনর সহজ পথই হল পেট। বেঁচে থাকতে, খেতে হবেই। আর তাও মন ভরিয়ে। সবটাই তো, পাপী পেট কা সওয়াল! কিন্তু যদি স্বাদই হারিয়ে যায় জীবন থেকে?


আপনার কি খাবারে নুন কম মনে হয় সবসময়? চায়ে ২-৩ চামচ চিনিও যথেষ্ট মনে হচ্ছে না? নুন-চিনি বা টক-ঝাল বেশি করে খাচ্ছেন? সাবধান!


তাহলে কিন্তু আপনার জিভই ভিলেন। জিভের ওপরের অংশ আঁশের মতো আবরণী কলা দিয়ে ঢাকা, যা দেখতে ছোট ছোট গুটির মতো, বলা হয় প্যাপিলা। এই প্যাপিলাতেই অসংখ্য স্বাদ কোরোক বা টেস্ট বাড সাজানো থাকে।


জিভের সামনের অংশে মিষ্টি স্বাদ, একদম শেষদিকে তিক্ত, একটু এগোলে টক এবং মাঝখানে নোনতা স্বাদ পাওয়া যায়। তবে, খেতে বসে স্বাদ না পেলে, বুঝতে হবে সমূহ বিপদ। সবটাই রোগের লক্ষণ। বেশি তেতো খাওয়ার ইচ্ছে হলে বুঝতে হবে শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে উঠেছে।


  • শরীরে অতিরিক্ত উত্‍কন্ঠা বা অনিদ্রার মতো রোগ থাবা বসিয়েছে। কিডনিতে যদি এনার্জি ব্লকেজ তৈরি হয় তাহলে শরীরে জলের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং বেশি করে নোনতা খেতে ইচ্ছে করে। খাবারে বেশি নুন খাওয়া মানে নিজের বিপদ নিজেই ডাকা।

  • কিডনির সমস্যা থেকে অতিরিক্ত ক্লান্তি, গাঁটে ব্যথা, অল্প বয়সে চুল পাকার মতো সমস্যা দেখা দেয়। বেশি টক খেতে ইচ্ছে করলে তা লিভারের সমস্যার লক্ষণ।

  • শরীর বলছে, অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব হয়েছে শরীরে। অনিয়মিত ঋতুচক্র, অবসাদ, মাইগ্রেন বা পেশীর সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা প্রবল। যদি মিষ্টি দেখলেই খেতে ইচ্ছে হয়, বা খাবারে অকাতরে চিনি ঢালতে থাকেন, তা হজমের সমস্যার লক্ষণ। এতে ওজন বেড়ে যাওয়া, ক্লান্তি, অনিদ্রার মতো সমস্যা বাড়ে।


স্বাদের প্রশ্নে তাই কোনও আপস নয়। গোলমাল টের পেলেই, সোজা ডাক্তারের কাছে চলে যাওয়া দরকার। খাবারে নুন-মিষ্টি-ঝালের পরিমাণ বাড়িয়ে অসুখ চাপা দেওয়ার চেষ্টা মানে, বিপদকে পাকাপাকি নিমন্ত্রণ করা।


আরও পড়ুন- গর্ভপাতের কারণ খুঁজতে গিয়ে 'যুগান্তকারী আবিষ্কার' সিডনির গবেষকদের