নিজস্ব প্রতিবেদন: ৩০ জুন নবান্ন থেকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, এবার থেকে অর্থ আর উচ্চশিক্ষায় কোনও বাধা হবে না। উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণের প্রয়োজন হলে, এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন পড়ুয়ারা। গ্যারেন্টার হবে সরকার। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই মিলল ব্যাপক সাড়া। নবান্ন সূত্রে খবর, গত পাঁচ দিনে এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য জমা পড়েছে প্রায় ১০ হাজার আবেদন। যার ফলে সব মিলিয়ে ঋণের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে খরচ হবে প্রায় 500 কোটি টাকা।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা  গিয়েছে,কার্ডের জন্য আবেদন জমা পড়ার পর পড়ুয়াদের আপলোড করা মার্কশিট,সার্টিফিকেট স্ক্রুটিনি করে দেখবে শিক্ষা দফতর। তথ্য যাচাই সম্পন্ন হলে, সেগুলো ব্যাঙ্কের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোর্সের জন্য আবেদন করছেন পড়ুয়ারা, সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কেও খোঁজ নেওয়া হবে। এরপর ব্যাঙ্ক থেকে সরাসরি সেই টাকা পৌঁছে যাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্য়াকাউন্টে অথবা সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে। কীভাবে এই লোনের টাকা শোধ করবেন পড়ুয়ারা? সেই বিষয়ে বিস্তারিত আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন: স্কুলের মাঠে বসে মদ্যপানের প্রতিবাদের জের, বাগুইআটিতে 'আক্রান্ত' যুবক


আরও পড়ুন: পুরসভার ভ্যাকসিনের ভাণ্ডারে টান, মঙ্গলবার থেকে দ্বিতীয় ডোজে অগ্রাধিকার


৩০ জুন স্টুডেন্ট ক্রেডিট কা্ডের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। কোনও জামিনদার লাগবে না। জামিনদার হবে রাজ্য সরকার। দশম শ্রেণি থেকে শুরু করে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর - সব কিছুইতে ঋণ পাওয়া যাবে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ঋণ পাওয়া যাবে। ঋণের মেয়াদ ১৫ বছর। বাবা-মায়ের কোনও চিন্তা থাকবে না। মা-বাবারা নিশ্চিন্তে থাকুন। আপনারা ছেলেমেয়েরাই ইঞ্জিনিয়ার, আইএএস, আইপিএস হবে। আপনাদের মুখ উজ্জ্বল করবে।'