নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের সভা মঞ্চ থেকে বিরোধীদের একের পর এক বাক্যবাণ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাদ যায়নি গেরুয়া শিবির থেকে বামদল কেউই। বক্তব্যের শুরুতে এদিন নাম না করেই কটাক্ষ করেছেন আন্দোলনকারী প্রাইমারি শিক্ষকদেরও। মঞ্চ থেকে সভানেত্রীর কড়া বার্তা, "যাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের মতো বেতন চান তাঁরা কেন্দ্রে যান। দিল্লির চাকরি করুন, আমার কোনও আপত্তি নেই আমি খুশি হব।" এদিন নেত্রী আরও বলেন  "রাজ্যে করলে রাজ্যের মতো, কেন্দ্রে করলে কেন্দ্রের মতো। রাজ্যের একটা সিস্টেম আছে, কেন্দ্রের একটা সিস্টেম আছে।" যদিও এ প্রসঙ্গে কারও নাম উল্লেখ করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। পাশাপাশি এসএসসি প্রার্থীদের স্বচ্ছ মেধাতালিকার দাবি নিয়ে কোনও কথা বলেননি মমতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, গত ৯ দিন ধরে পিআরটি স্কেলের দাবিতে বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনে বসেছেন প্রাইমারি শিক্ষকরা। তাঁদের অভিযোগ, বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার কোনও কথাই শোনেনি। এ বিষয়ে কথা বলতে শনিবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেন আন্দোলনকারিদের ৫ জনের প্রতিনিধি দল। তাতেও বেতন পরিকাঠামো পুনর্বিন্যাসের কোনও আশ্বাস মেলেনি বলেই দাবি করেছিলেন তাঁরা। যদিও বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার নিয়ে মৌখিক আশ্বাস মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।


আরও পড়ুন: "সময় দিন, দিলীপ ঘোষ মাইনে বাড়িয়ে দেবেন" প্রাথমিক শিক্ষকদের পরামর্শ পার্থর


গতকাল বৈঠক শেষে কার্যত এই একই সুরেই বিরোধীদের কোটে বল ঠেলেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও, বলেছিলেন "দিলীপ ঘোষ গিয়েছিলেন আন্দোলনমঞ্চে। দিলীপবাবুকে নিয়ে ওরা চলে যাক''। তাঁর কটাক্ষ,"দিলীপ ঘোষকে সময় দিন, উনিই বেতন বাড়িয়ে দেবেন।" পাশাপাশি পার্থর আশ্বাস, রাজ্যের আর্থিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে শিক্ষকদের জন্য যতটুকু করা সম্ভব তা করা হবে।



প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন কাঠামো ৫,৪০০-২৫,২০০। গ্রেড পে-২,৩০০/২,৬০০। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় যা অনেকটাই কম। আর এই বেতন বৈষম্য দূর করতেই প্রাথমিক শিক্ষকরা অনশনে বসেছেন। তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত এই অনশন চালিয়ে যাবেন বলেই সাফ জানিয়েছেন তাঁরা।