নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অসমের বরপেটায় গ্রেফতার ৫ জেএমবি জঙ্গির সঙ্গে বর্ধমান-খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনার যোগ রয়েছে। শুধু যোগই নয়, খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত ও বর্তমানে সাজাপ্রাপ্ত শাহানুর আলমের সঙ্গে একসঙ্গে শিমুলিয়া মাদ্রাসাতে প্রশিক্ষণও নিয়েছিল বড়পেটায় ধৃত জেএমবি জঙ্গিদের মধ্যে অনেকে। এনআইএ শুক্রবার গুয়াহাটি আদালতে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে এই তথ্যের উল্লেখ রয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ২৯  জুলাই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অসমের বরপেটায় একটি বাড়িতে হানা দেয় পুলিস। বাড়ির মালিক হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে। জানা যায় সে একজন প্রশিক্ষিত জেএমবি জঙ্গি। তল্লাশি চালাতেই তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও বিস্ফোরক। উদ্ধার হয় জিহাদি বইপত্র। এছাড়াও অসমের একাধিক জঙ্গি সংঘটনের নথিপত্রও উদ্ধার হয়। তারমধ্যে একদিকে যেমন ছিল জেএমবি-র নথি, তেমনই আলফার নথিও উদ্ধার হয়। এরপর ধৃত হাফিজুরকে জেরা করেই রাতে আরও ৪ জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতরা হল ইয়াকুব আলি, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও মহম্মদ হাফিজ সফিকুল ইসলাম।


আরও পড়ুন, পাড়ার 'মামা'র সঙ্গে পরকীয়া বিধবা শাশুড়ির! সত্যি জেনে ফেলায় বিয়ের ৭ মাসেই 'খুন' বউমা


এরপরই ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। ডিসেম্বরে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তে জানা যায়, ২০১৪-র খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের কিছু আগেই শাহানুর আলমের সঙ্গে পরিচয় হয় বড়পেটার অভিযুক্তদের। শাহানুরই তাঁদের জেএমবি-তে নিযুক্ত করে। শিমুলিয়া মাদ্রাসাতে প্রশিক্ষণ দেয়। বিস্ফোরণের ঘটনাতেও ধৃতদের যোগ মেলে। শুধু তাই নয়, রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে আলফার সঙ্গে নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনাও করেছিল এরা। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলা ও অসমের জেএমবি ইউনিট একসঙ্গে তৈরি হচ্ছিল। অসমে বসেই সমস্ত রাজ্যের জেএমবি ইউনিটকে একত্রিত করে শক্তিশালী হামলা করার  ছক কষা হচ্ছিল।