লকডাউনের বাজারে `ভগবান` চিকিত্সকের হাতে জন্ম হল করন্যাসের!
নার্সিংহোমে যাওয়ার সময়ে আরও এক চিকিত্সক নিজের গাড়িতে তুলে নেন কৌশিক রায় চৌধুরী। এরপর তাঁদের তত্পরতায় অপারেশন হয়। ফুটফুটে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন শিখা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কথায় বলে চিকিত্সক হলেন ভগবানের স্বরূপ। তার আরও একবার প্রমাণ মিলল।
কবরডাঙার বাসিন্দা গৌর মণ্ডল পেশায় গাড়িচালক। তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এমআর বাঙুর হাসপাতালে চিকিত্সকের অধীনে ছিলেন তিনি। তাঁর ডেলিভারি ডেট ছিল ৭ মে। শনিবার আচমকাই পেটের ভিতর বাচ্চার গতিবিধি বুঝতে পারছিলেন না তিনি। গৌর তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে সোজা এমআর বাঙুর হাসপাতালে চলে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, শুধুমাত্র করোনা রোগীদের চিকিত্সা হচ্ছে।
লকডাউনের বাজারে মদ না পেয়ে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে মৃত্যু ২ যুবকের, অসুস্থ ৩
মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে তাঁদের। গৌর মণ্ডল তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই বন্ধু কৌশিক রায় চৌধুরী নামে এক চিকিত্সকের নম্বর দেন। চিকিত্সকের কাছে নিয়ে গেলে, তাঁরা জানতে পারেন, বাচ্চার হার্টবিট অত্যন্ত কমে গিয়েছে। এই অবস্থায় তড়িঘড়ি নিজের গাড়িতেই শিখাকে নার্সিংহোমে নিয়ে যান চিকিত্সক। অপারেশনের সমস্ত ব্যবস্থা করেন।
নার্সিংহোমে যাওয়ার সময়ে আরও এক চিকিত্সক নিজের গাড়িতে তুলে নেন কৌশিক রায় চৌধুরী। এরপর তাঁদের তত্পরতায় অপারেশন হয়। ফুটফুটে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন শিখা। চিকিত্সক ভালোবেসে তার নাম রেখেছেন করন্যাস।
গৌরের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায়, অপারেশনের সমস্ত ব্যয় নিজেই মিটিয়ে দেন চিকিত্সক। গৌরের কথায়, "আজ ভগবানকে দেখলাম স্বচক্ষে। "