নিজস্ব প্রতিবেদন: মুদিয়ালির পুজো। পুজোর আবহ। এটুকুই মনে ছিল কালু কাবারিয়ার। আর কিচ্ছু না। আর এই পুজোর সূত্র ধরেই কেরল থেকে ফোন এল বাংলায়। ৭ বছর পর, হারিয়ে যাওয়া কালু ফিরছে বাড়িতে। কালুকে আনতে কেরল যাচ্ছেন তাঁর বাবা। সবরকম ব্যবস্থা করল মুদিয়ালি ক্লাব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কালুর কিচ্ছু মনে নেই। শুধু মনে আছে মুদিয়ালির পুজো। ওখানেই ছিল তাঁর বাড়ি। মৃগী আক্রান্ত ছিলেন মুদিয়ালির কালু কাবারিয়া। জ্ঞান হারিয়ে ফেলতেন। জ্ঞান ফিরলে, হারাতেন মানসিক ভারসাম্য। অসুস্থ হলেই বাড়ি ছাড়তেন কালু। আবার ঘণ্টা দুয়েক পর ফিরেও আসতেন। কিন্তু একদিন, কালু আর ফিরলেন না। সাত বছর আগে, হারিয়ে গিয়েছিলেন কালু কাবারিয়া। তখন ১৬-১৭ বছর বয়স ছিল তাঁর। 



লালবাজারে গিয়েছিলেন কালুর বাবা গোপী কাবারিয়া। লাভ হয়নি।হন্যে হয়ে খুঁজেছিলেন ছেলেকে। খুঁজতে খুঁজতে কেটে গেছে ৭ বছর। আচমকাই শুক্রবার ফোন আসে ক্লাব সদস্যের কাছে। কেরলের ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস থেকে। নেট থেকে তারা খোঁজ পায় মুদিয়ালির পুজোর। ফোন নম্বর মেলে সেখান থেকেই। এরপর খোঁজ মেলে গোপী কাবারিয়ার পরিবারের। হতদরিদ্র পরিবার। অবস্থা দেখে দু বার ভাবেনি ক্লাব। ঠিক করেন, ক্লাব থেকেই সমস্ত দায়িত্ব নেওয়া হবে। ছেলে  ফিরবেই। আশাবাদী ছিলেন বাবা। গোপী কাবারিয়াকে কেরলে পাঠানো। কালুকে নিয়ে ফেরত আসা। সব দায়িত্ব মুদিয়ালি ক্লাবের। ধন্যবাদ জানাতে গিয়েও গলা বুজে আসে গোপী কাবারিয়ার। 


পুজোর তো আর কটা দিন। মুদিয়ালিতে প্রস্তুতি তুঙ্গে। বাঁশের কাঠামো বাঁধা তৈরি। এখন শুধু  মণ্ডপ তৈরির ঠকাঠক আওয়াজ আর  ব্যস্ততা। মুদিয়ালি এবারও টক্কর দেবে আলো-উত্‍সব মুখরতায়। শুধু এবার থাকবে অতিরিক্ত কিছু। ফিরে পাওয়ার ,ফিরিয়ে দেওয়ার আনন্দ এবং খুশি। এখানেই তো উত্‍সবের সার্থকতা। 


আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: সেনার মধ্যে দেবদর্শন, বন্যায় উদ্ধারের পর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম মহিলার