নিজস্ব প্রতিবেদন- দিল্লি বা উত্তরপ্রদেশ নয়। কলকাতা। রাতের দিল্লির বদনাম রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের কথা তো না বলাই ভাল। কিন্তু কলকাতায় এমন কাণ্ড! এর আগেও যে এমন কাণ্ড রাতের কলকাতায় হয়নি তা নয়। তবে দিল্লি বা উত্তরপ্রদেশের তুলনায় এই শহরে মহিলাদের নিরাপত্তা তুলনামূলক সুরক্ষিত ছিল। এখন সেই সুনামও কি হারাচ্ছ কলকাতা! শনিবার রাতের ঘটনা কলকাতায় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল। গতকাল রাতে এক মহিলাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে এক দম্পতির বিচক্ষণতায় সেই চেষ্টা বানচাল হয়। পাশের গাড়িতে থাকা এক দম্পতি ঘটনার আন্দাজ করে এগিয়ে আসে। তারাই সেই গাড়িটিকে আটকায়। আর তখনই সেই তরুণীকে গাড়ি থেকে ফেলে পালানোর সময় প্রতিবাদী মহিলাকে ধাক্কা মারে গাড়িটি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ছবি- আক্রান্ত মহিলা


প্রতিবাদী মহিলা রুবি হাসপাতাল ভর্তি রয়েছেন। শনিবার মাঝরাতে ঘটনাটি ঘটে। ৩১ বছর বয়সী সেই মহিলার সঙ্গে অমিতাভ বোস নামে এক ব্যক্তির বন্ধুত্ব হয়েছিল। অমিতাভ তাঁকে দেখা করতে বলেন। শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ অমিতাভ বোস নামের সেই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে যান আক্রান্ত মহিলা। এর পরই তাঁরা দুজনে গাড়িতে চেপে এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর সেই মহিলা বাড়ি যাবেন বলে অমিতভকে জানান। আর তখনই অবস্থা বেগতিক হয়। অমিতভ নামের সেই ব্যক্তি তাঁকে বাড়িতে নামাতে চাননি। পরিস্থিতি প্রতিকূল হচ্ছে বলে বুঝতে পারেন সেই মহিলা। কালিকপুরের কাছে অভ্যুদয় হাউজিং কমপ্লেক্স-এর সামনে সেই মহিলাকে শারীরিক নিগ্রহ করতে শুরু করে অমিতাভ। সেই মহিলা তখন চিত্কার-চেঁচামেচি শুরু করে দেন। 



ছবি- উদ্ধারকারী মহিলা


আরও পড়ুন-  করোনা ওয়ার্ডের ভিতরেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী কোভিড রোগী, চাঞ্চল্য এনআরএস-এ


আক্রান্ত মহিলার চিত্কার শুনে নীলাঞ্জনা চ্যাটার্জি ও তাঁর স্বামী দীপ সত্পতি সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। তাঁরা সেই সময় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। তাঁদের দেখতে পেয়ে আক্রান্ত মহিলাকে ফেলে পালান অমিতাভ। অত্যন্ত দ্রুত গতিতে হন্ডা সিটি গাড়িটি ঘোরানোর সময় নীলাঞ্জনা চ্যাটার্জিকে ধাক্কা মারে অমিতাভ। তাঁর বাঁ-পায়ে চোট লাগে। কোনওক্রমে সেই মহিলা রক্ষা পান। এর পরই আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত মহিলা। এদিকে পুলিস কেস ঘোরানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মেয়েটির বয়ান নেওয়া হবে আজ। কী ভাবে বন্ধুত্ব? কারও মাধ্যমে কিনা! জানা হবে। তারপরেই সেই সূত্র ধরে অমিতাভের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করবে পুলিশ। এখনও অমিতাভের হদিশ পাওয়া যায়নি।