নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার তৃতীয় বারের জন্য রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন অশোক গেহলত। ফলাফল বেরনোর পর অনেক টানাপোড়েনের মধ্যেই ফের এই ৬৭ বছরের প্রবীণ নেতার উপরই আস্থা রাখল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিসগড় এই তিন রাজ্যে নজিরবিহীনভাবে বিজেপিকে হঠিয়ে থাবা বসিয়েছে কংগ্রেস। ফাইনালের আগে এই জয় কংগ্রেস কর্মীদের আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি প্রস্তর তৈরি করে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই জয়কে ভাগ করে নিতে অন্যান্য রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বের পাশাপাশি বঙ্গ বিগ্রেডকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাজস্থানের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- টানা পাঁচদিনের দর কষাকষি শেষ, ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন ভূপেশ বাঘেল


গেহলতের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্র পেয়ে আজই রওনা দিয়েছেন এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান এবং অমিতাভ চৌধুরী। রাজস্থান রওনা দেওয়ার আগে মান্নান বলেন, “তিন রাজ্যের জয় কংগ্রেস কর্মীদের উজ্জীবিত করেছে। আগামী দিনে কংগ্রেসের বঙ্গ ব্রিগেডকে বাড়তি অক্সিজেন দেবে এই জয়।”



আরও পড়ুন- ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলে; শত্রুদেরই তারা বেশি বিশ্বাস করে'


রাজস্থান ছাড়াও বাকি দুই রাজ্যেও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান রয়েছে সোমবার। তবে, আমন্ত্রণ পেলেও অসুস্থতার কারণে যেতে পারছেন না রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন মিত্র। তবে তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে লড়তে মনোবল বাড়াল আমাদের কংগ্রেস কর্মীদের। জাতীয় স্তরে রাহুল গান্ধী জোটের পথে হাঁটলেও  লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস। অন্য দিকে জানা গিয়েছে, তিন রাজ্যের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নিজে উপস্থিত থাকছেন না তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্নাটকে কুমারস্বামী শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থেকে জোটের বার্তা যেভাবে জোরালো করেছিলেন, এ ক্ষেত্রে নয়া কৌশল নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। তৃণমূলের তরফে প্রতিনিধি হিসাবে দুই সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী এবং নাদিমুল হককে যথাক্রমে রাজস্থান ও মধ্য প্রদেশে পাঠানো হয়েছে।