Abhishek Banerjee: নন্দীগ্রামে `আক্রান্ত` তৃণমূল, `বিচারব্যবস্থার একাংশ`কে নিশানা অভিষেকের...
`যাঁরা করেছে, তাঁদের নাম মুখ্যমন্ত্রীকে দেব`। নন্দীগ্রামে আহত দলীয় কর্মীদের দেখতে এসএসকেএমে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: নন্দীগ্রাম 'আক্রান্ত' তৃণমূল। 'যাঁরা করেছে, তাঁদের নাম মুখ্যমন্ত্রীকে দেব', বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, নিশানা করলেন বিচারব্যবস্থার একাংশকেও!
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের জোট বৈঠকে এবার মমতার সঙ্গী অভিষেকও
এদিন বিকেলে এসএসকেঅমে যান অভিষেক। হাসপাতালে থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, 'নির্বাচনের ফল ঘোষণা পর থেকে বিজেপির একাংশের মদতে সন্ত্রাস হয়েছে। প্রায় ১৪ জন আমাদের দলের সহকর্মী, তাঁরা ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসেছে। তাদের চিকিৎসা চলছে এসএসকেএম হাসপাতালে। তাদের দেখতে এসেছি। আমি ১৪ জনের সাথেই ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেছি। কথা বলেছি। তার সাথে পূর্ব মেদিনীপুরে আমাদের আরও এক সহকর্মী চঞ্চল খাঁড়া, তমলুক টাউনে দলের প্রেসিডেন্ট। তাঁর উপরে নির্বাচব চলাকালীন হামলা হয়েছে। দেখতে কথা বলতে এসেছিলাম'।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট শেষ। ফল ঘোষণাও হয়ে গিয়েছে। অভিষেক বলেন, 'কার্যত বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে নন্দীগ্রামে। এক নম্বর ব্লকে জেলা পরিষদ ৩ আসনেই তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে। পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে। ৭ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে। সেকারণে, এমনকী মহিলাদেরও তাঁরা ছাড়েনি। বাড়িতে গিয়ে খুন করব, ধর্ষণ করব, শাসানি ভয় দেখানো'। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'আমি ১৪ জনের সঙ্গেই কথা বললাম এবং নামগুলিও নিলাম যে, কারা এদের সঙ্গে যুক্ত। আমি প্রায় ২০ জনের নাম লিখিত এখান থেকে নিয়ে যাচ্ছি, আমি মুখ্যমন্ত্রী এই নামগুলি দেব'।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিস কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না? অভিষেকের দাবি, 'বিচারব্যবস্থার একাংশ বিজেপিকে মদত দিচ্ছে। এই সমাজবিরোধীগুলিকে যেভাবে রক্ষাকবচ দিয়ে হাইকোর্ট, অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। আমরা ভারতবর্ষের বিচারব্যবস্থায়, বিশেষ করে হাইকোর্টের তরফ থেকে এভাবে মদত দিয়ে একটা রাজনৈতিক দলকে বলিষ্ট করে, সন্ত্রাসকে মদত দেওয়া, স্বাধীনতার ৭৫ বছর হয়েছে, দেখিনি। যাদের জেলে থাকা উচিত, তাঁদেরকে মদত দিয়ে, পুলিস-প্রশাসনের হাত কার্যত হাইকোর্ট বেঁধে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতির জন্য যদি কেউ দায়ি থাকেন, তাহলে হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতিরাই'।
এর আগে, এদিন সকালে বয়াল, বিরুলিয়া-সহ নন্দীগ্রাম ১ ও ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের খোঁজখবর নেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। সঙ্গে ছিলেন কুণাল ঘোষ ও সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র।