জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: খুব স্বাভাবিক ভাবেই একুশের মঞ্চ থেকে নিজের বক্তব্য রাখলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্য বেশি দীর্ঘায়িত না করে তিনি অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি বিভিন্ন বিষয় ছুঁয়ে গিয়েছেন। বক্তব্য শুরু করেছেন গুরুপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে বড়দের শ্রদ্ধা নিবেদন, সমবয়স্কদের অভিনন্দন এবং ছোটদের ভালোবাসা জানিয়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২৪-এর লোকসভা ভোটের ফলের প্রসঙ্গ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কথা শুরু করেন। তিনি জানান, তিনি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। জনগণের গর্জনে বিশ্বাসী। জুনের ৪ তারিখ তাঁর সেই বিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অভিষেক বলেন, এই জয়ের প্রধান কারিগর যাঁরা, তাঁরা এখানে উপস্থিত হয়েছেন। তাঁরাই এই জয়ের সৈনিক। আমি বলেছিলাম, মানুষের শক্তি কী, আমরা দেখাব। বিজেপিকে ধুয়ে-মুছে দিয়েছি আমরা। এই জয় আপনাদের সমর্পণ করছি। আপনাদের সকলের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছি।


অভিষেক বলেন, আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। এই ধর্মতলা থেকেই বিজেপি একদিন বলেছিল 'ভাগ, মমতা ভাগ'। আজ সারা বাংলা বলছে 'ভাগ, বিজেপি ভাগ'। তাঁদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বুক চিতিয়ে লড়ুন, বাকিটা আমরা দেখব। বাংলার জনগণ বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে। ওরা জানত না, ইডি আর সিবিআইয়ের স্ক্রু ড্রাইভারের থেকে মানুষের হাতে থাকা হাতুড়ির জোর অনেক বেশি। 


বিজেপি বলেছিল। চারশো পার। চারশো পার হল? বিজেপির কাছে সব আছে। তৃণমূলের কাছে আছে জনগণ। তৃণমূলকে ছোট করতে গিয়ে এরা বাংলাকে ছোট করেছে। সন্দেশখালিকে বিজেপি হাতিয়ার করেছিল, সেই সন্দেশখালি যে বসিরহাট লোকসভার অধীনে সেখানে বিপুল ভোটের ব্য়বধানে জিতেছে তৃণমূল। 


লড়াই থেকে তৃণমূল থেকে সরে আসেনি। আগামী দিনের লড়াই আরও বড়। আমাদের ২৬-এর জন্য এখন থেকেই প্রস্তুত হতে হবে। নিজের কথা ভাবলে চলবে না। এই লড়াই শুধু মমতার লড়াই নয়, এটা ১০ কোটি মানুষের লড়াই। আমি এই যে এক-দেড় মাস পর্যালোচনার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমি এক কথার ছেলে। কথা দিয়ে কথা রাখি। তিন মাসের মধ্যে দেখবেন কী ঘটে! 


আপনারা যেভাবে জয় এনে দিয়েছেন, তা অভাবনীয়। আমরা বলেছিলাম, বুথ পাহারা দিয়ে মানুষ যাতে নিজের ভোটটা দিতে পারে, সেটা দেখুন। আপনারা সেটা করেছেন। দিল্লির দয়াদাক্ষিণ্যে আমরা বেঁচে নেই। আমরা সবাইকে বাড়ির টাকা দেব। আমাদের মা-মাটি-মানুষ প্রত্যেকের কাছে পৌঁছে দেবে বাড়ির টাকা। যাঁরা আমাদের ভোট দিয়েছেন, তাঁদেরও যেমন, তেমনই যাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন, তাঁদেরও উন্নয়ন দেখব আমরা। আমাদের একটাই ধর্ম-- মানুষকে পরিষেবা দেওয়া। তৃণমূল লোহার মতো শক্ত। যত তাতাবে ততই তাতবে।  আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। আমরা গরিব মানুষের মুখে ভাত তুলে দেওয়ার জন্য সব সময় চেষ্টা করি। বিজেপি নরেন্দ্র মোদীর গর্জনে বিশ্বাস করেছিল, টাকার  গর্জনে বিশ্বাস করেছিল। আমরা মানুষের উপর বিশ্বাস রেখেছি।


কথা দিচ্ছি, যারা এই নির্বাচনে মানুষকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। অভিষেক বলেন, এই একমাস কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আপনারা আমাকে দেখেননি। কারণ আমি রাজনৈতিক পর্যালোচনার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এর ফলাফল আগামী তিন মাসের মধ্যেই আপনারা দেখতে পাবেন। আমি এক কথার ছেলে। ভোটে 'নিষ্ক্রিয়'দের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি অভিষেকের।


এখন একটা কথা বলুন-- মাথা নত না করে যেভাবে লড়েছেন, সেভাবেই আগামীদিনে লড়বেন তো? আগামী দিনে লড়াই হবে? খেলা হবে?


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)