`সব উজাড় করে দেব`, Abhishek-কে দেখে কাঁদলেন বক্সি; দিল্লিই লক্ষ্য, পরামর্শ সুব্রতর
``নতুন যাত্রার সূচনায় আজ সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির আশীর্বাদ নিলাম,`` টুইট অভিষেকের (Abhishek Banerjee)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলার ঐতিহ্য মেনে বড় দায়িত্ব নেওয়ার পরের দিন দলের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তৃণমূলের নতুন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রবিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে আশীর্বাদ চাইলেন। সকলের কাছে ঘণ্টাখানেক সময় কাটিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ।
রবিবার প্রথমেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দলের মহাসচিবের কাছে পরামর্শ দেন। অভিষেকের প্রশংসা করে পার্থ বলেন,''মমতা ছাড়া তৃণমূলে এখন আর একটা মুখ অভিষেক।''
অভিষেকের পরের গন্তব্য সুব্রত বক্সির (Subrata Bakshi) ভবানীপুরের বাড়ি। গতকাল পর্যন্ত তিনিই ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ওই পদে এসেছেন অভিষেক। অনুজকে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন সুব্রত বক্সি। বলেন,''যা আছে জীবনের সব তোকে উজাড় করে দিয়ে দেব।'' 'মমতাদি'র কথা বলতে গিয়ে রীতিমতো চোখে জল আসে সুব্রতর। জড়িয়ে ধরেন অভিষেক। এরপর গড়িয়াহাটে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) বাড়িতে যান তিনি। অভিষেককে সুব্রত পরামর্শ দেন,''এখন একটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত দিল্লিতে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করা।''
পরে অভিষেক (Abhishek Banerjee) টুইট করেন,''নতুন যাত্রার সূচনায় আজ সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির আশীর্বাদ নিলাম। তাঁদের নেতৃত্ব ও কার্যশৈলী আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁদের কাছ থেকে যা শিখেছে, সেজন্য চিরঋণী থাকব।''
দলে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন। তাও আবার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। নিজে যুবা হওয়ায় নবীনদের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। কিন্তু প্রবীণদেরও দরকার অভিষেকের। সেই ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে হবে তাঁকে। দক্ষ রাজনীতিকের মতো প্রথম দিন থেকে সেই কাজটাই শুরু করলেন অভিষেক, মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
আরও পড়ুন- রাজনীতিতে 'হাতে খড়ি' দেওয়া Mukul-র বাড়িতে Saumitra, শুরু রাজনৈতিক জল্পনা