জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: করোনা ঠেকাতে হইচই ফেলে দিয়েছিল ডায়মন্ড হারবার মডেল। এবার বার্ধক্যভাতায় চালু করা হল ডায়মন্ড হারবার মডেল। এর জন্য খোলা হল ২০৩টি শিবির। প্রবীণ যেসব মানুষ বার্ধক্যভাতা পাওয়ার যোগ্য তাদের সাহায্য করার জন্যই ওইসব শিবির খোলা হয়েছে। জানা যাচ্ছে ডায়মন্ড হারবার সংসদীয় এলাকাতেই এমন ৭০ হাজার মানুষ রয়েছেন যারা বার্ধক্যভাতা পাওয়ার যোগ্য। এদের অনেকেই বার্ধক্যভাতার জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু ভাতা পাননি। তাদের সহায়তা করার জন্যই ওইসব শিবির খোলা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-গিরিরাজের 'ঠুমকা'য় উত্তাল সংসদ-বিধানসভা! তীব্র ধিক্কার, ক্ষমা চাওয়ার দাবি তৃণমূলের


তৃণমূল সূত্রে খবর, ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশ দিয়েছেন, যেসব প্রবীণ মানুষ শিবিরে আসতে পারবেন না তাদের বাড়ি গিয়ে যেন ওই ভাতা পেতে সহায়তা করা হয়। এখানেই শেষ নয়, যদি দেখা যায় শিবির করার পরও ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কেউ বার্ধক্যভাতা পাননি তাহলে তাদের আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাদের আর্থিক সাহায্য করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাত্ ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের সব যোগ্য় প্রবীণদের বার্ধক্যভাতা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


ডায়মন্ড হারবারে যে এরকম একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেই খবর ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রচার চালাবেন স্বেচ্ছাসেবকরা। কিছুদিন আগে এটাই জোর দিয়ে বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি তিনি ঘোষণা করেন, ডায়মন্ডহারবারের বার্ধক্যভাতা পাওয়ার যোগ্য মানুষদের কাছে ওই ভাতা পৌঁছে দিতে সবরকম চেষ্টা তিনি করবেন।


একসময় ময়দান কাঁপিয়েছিল অমল দত্তের ডায়মন্ড মডেল। করোনা ঠেকাতে ডায়মন্ডহারবারে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেন 'ডক্টরস অন হুইলস'। বাড়ি বাড়ি চিকিত্সকেরা গিয়ে মানুষজনকে পরীক্ষা করতেন, তাঁদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতেন। প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৫টি ব্লকে শুরু হয় ডক্টরস অন হুইলস। পরিষেবায় জড়িত ছিলেন ২৬ জন চিকিত্সক। টানা ১৭ দিন ধরে চলে ডক্টরস অন হুইলস। একেই বলা হচ্ছিল ডায়মন্ডহারবার মডেল। এবার সেটাই ফের চালু করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


এনিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বার্ধক্যভাতা পাওয়ার জন্য বহু মানুষ যোগ্য কিন্তু এই মুহূর্তে যে দল রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তার অযোগ্য। তাদের প্রতিষ্ঠানিক স্বেচ্ছচারিতা, লুঠ ও দলতন্ত্রের কারণে দরিদ্র মানুষজন বঞ্চিত হন। পশ্চিমবঙ্গে আবাস যোজনার ঘর বাংলার মানুষ পাচ্ছেন না কেন? যে কোনও গ্রামে চলে যান তৃণমূল কর্মীরা মানুষের সামনে দাঁড়াতে পারছেন না। তৃণমূলের টাকার অভাব নেই। তাই তারা বার্ধক্যভাতা দেবেন।  কারণ ভোটে পরাজয়ের আতঙ্ক আছে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)