নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবার ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্তে CPI(M) কার্যালয়ে হামলা করে দুষ্কৃতীরা। সিপাহীজলার ধনপুরে CPI(M)-এর সাথে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। সংবাদ মাধ্যমের উপরও হামলা করা হয়। সমস্ত ঘটনায় বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে CPI(M)। আর এই ঘটনায় বামেদের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল (TMC)। টুইটে বিজেপিকে নিশানা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পাল্টা তোপ দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টুইটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) লেখেন, "গুণ্ডামি ও অরাজগতাকে সংস্কৃতি করে ফেলেছে ত্রিপুরা বিজেপি। আজ গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভও আক্রান্ত। আমরা সংবাদ মাধ্যমের পাশে আছি এবং ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকারের দুয়ারে গুণ্ডা মডেলের বিরুদ্ধে লড়াই আমরা জারি রাখব।" এর পাল্টা হিসেবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, "এখান থেকে নেতা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখান থেকে মিডিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখান লোক নিয়ে গিয়ে যোগদান করানো হচ্ছে। ওখানে উৎপাত করা হচ্ছে। আমার মনে হয় ওখানকার লোকজন এটা পছন্দ করছে না।" 


আরও পড়ুন: Behala Murder: খুনের ৭২ ঘণ্টা পরেও অধরা মিসিং লিঙ্ক, কী ছিল মৃতার স্বামীর ব্যাগে? বাড়ছে রহস্য



আরও পড়ুন:Puja 2021: 'নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়নি', অনুদান বিতর্কে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি স্বরাষ্ট্রসচিবের


ত্রিপুরায় 'দুয়ারে গুণ্ডা' প্রকল্প চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সরকার। বুধবারই এই অভিযোগ করেন তৃণণূল নেতা কুণাল ঘোষ। এরও জবাব দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন, "আগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গুন্ডারাজ হঠান, তারপর ত্রিপুরা যাবেন।"


বুধবার আগরতলার CPI(M) কার্যালয় ছাড়াও তাদের উদয়পুর এবং বিশালগড়ের কার্যালয়েও তান্ডব চালানো হয় বলে দাবি করেছে CPI(M)। প্রাক্তন বাম মন্ত্রী রতন ভৌমিকের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। প্রতিবাদী কলম নামে একটি দৈনিকের অফিসেও তান্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। সাংবাদিকদের মোটরবাইক সহ পত্রিকার সম্পাদকের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনায় ৩ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে ২ জন হাসপাতালে ভর্তি। অভিযোগ, CPI(M)-এর মুখপত্র ডেইলি দেশের কথার দপ্তরেও হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী দশরথ দেবের মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়।