ওয়েব ডেস্ক: সনিকা সিং মৃত্যুকাণ্ডে গ্রেফতার অভিনেতা বিক্রম চ্যাটার্জি । কসবার অ্যাক্রোপলিস মলের কাছ থেকে গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে টালিগঞ্জ থানা ও কলকাতা গোয়েন্দা পুলিস । আজ তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হবে। পুলিস সূত্রে খবর, বিক্রমকে নিজেদের হেফাজতে চাইতে আদালতে আবেদন জানাবে পুলিস। সেই রাতে কীভাবে ঘটনাটি ঘটে?  কীভাবে তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন? কীভাবে সনিকার মৃত্যু হল? এ সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সনিকার মৃত্যুর পর বিক্রমের বিরুদ্ধে ৩০৪-এর A ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিস। অর্থাত্‍ গাফিলতির জেরে মৃত্যু। কিন্তু তখনই প্রশ্ন ওঠে, কেন বিক্রমের বিরুদ্ধে জামিন যোগ্য ধারা দেওয়া হচ্ছে? বারবার সনিকার পরিবারের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয় কলকাতা পুলিসকে। প্রশ্ন তোলেন সনিকার বন্ধুরাও। এরপরই ধারা পরিবর্তন করা হয়। যুক্ত করা হয় ৩০৪  ধারা। অর্থাত্‍ অনিচ্ছাকৃত খুন। জামিন অযোগ্য ধারা যুক্ত করার পর অবশ্য পুলিস গ্রেফতার করেনি বিক্রমকে। বিক্রম চ্যাটার্জিকে দফায় দফায় জেরা করে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, বিক্রমের বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি ধরা পড়ে। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ এবং ফরেনসিক রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর বেশ কিছু সূত্র পায় পুলিস। আদালতেও ৪জন গোপন জবানবন্দি দেয়। পুলিসও কয়েকজনের বয়ান নথিবদ্ধ করে। এরপরই পুলিস তাঁকে গ্রেফতারের উদ্যোগ নেয়।


জামিন অযোগ্য ধারা দেওয়ার পরই গ্রেফতারি এড়াচ্ছিলেন বিক্রম চ্যাটার্জি। গতকাল পুলিস খবর পায়, বিক্রম তাঁর এক বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। গোয়েন্দারা তাঁকে অনুসরণ করতে থাকেন। পুলিস সূত্রে খবর, একটি ক্যাবে করে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেণ বিক্রম চ্যাটার্জি। রাত তখন ১২.১৫। অ্যাক্রোপলিস মলের কাছে ক্যাবটি আটকান গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করা হয় অভিনেতা বিক্রম চ্যাটার্জিকে।


রাতে টালিগঞ্জ থানার লক আপে একাই ছিলেন বিক্রম চ্যাটার্জি। সারা রাত জেগে ছিলেন। লক আপের বাইরে একটি স্ট্যান্ড ফ্যান দেওয়া হয়। সতরঞ্জি দেওয়া হয় লক আপের ভিতর। সেখানে বসে বসেই রাত কাটিয়ে দেন তিনি। বারবার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে চান বিক্রম। খবর টালিগঞ্জ থানা সূত্রে।


মাত্র ৭৪৫ টাকা থেকে শুরু বিমান ভাড়া! অবশ্যই জানুন