নিজস্ব প্রতিবেদন: পর্ণশ্রী জোড়া খুনকাণ্ডে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। একাধিক মিসিং লিঙ্কের খোঁজে তদন্তকারীরা। বুধবার রাতে পর্ণশ্রীর ওই ফ্ল্যাটে দু'দফায় তল্লাশি চালান তাঁরা। প্রথমে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার ৫ অফিসার তল্লাশিতে যান। এরপর মৃতার স্বামী তপন মণ্ডলকে নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পর্ণশ্রী জোড়াখুনকাণ্ডে ৭২ ঘণ্টা পরেও অধরা সূত্র। খুনের ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস। বুধবার রাত ১১টা ২০ মিনিট থেকে ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত প্রথমে ৫ অফিসার তল্লাশি করেন। এরপর তপন মণ্ডলকে সেখানে নিয়ে আসা হয়। ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তপন মণ্ডলের হাতে ছিল একটি ব্যাগ। কী ছিল ওই ব্যাকে? এই প্রশ্নেই বাড়ছে জল্পনা। 


আরও পড়ুন: Puja 2021: 'নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়নি', অনুদান বিতর্কে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি স্বরাষ্ট্রসচিবের


তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ফ্ল্য়াটের চাবির গোছা হাতে পাননি গোয়েন্দারা। আবাসনের মেন গেটে সব সময় তালা দেওয়া থাকে। যার ফ্ল্য়াটে লোক আসে তিনি মেন গেটের তালা খুলে দেন। অর্থাত্ সেদিন বাড়ির কর্তা তপন মণ্ডলের বাড়িতে এসেছিল পরিচিত কেউ? ফলে তপনের স্ত্রী সুস্মিতা বা ছেলে তমোজিতই হয়তো গেটের তালা খুলে দিয়েছিল বা চাবির গোছা তাদের হাতে দিয়েছিল। এসব প্রশ্ন উঠে আসছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন এই জোড়া খুনের পিছনে একজন নয়, একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে। 


আরও পড়ুন: WB Bypoll: 'বেশি সাজুগুজু করবে না', 'কালারফুল' মদনকে পরামর্শ Mamata-র


প্রাথমিক তদন্ত উঠেছে, খুন হয়েছে বিকেল ৩টে থেকে ৫টার মধ্যে। অর্থাৎ পরিচিত কেউ এলে তবেই মেন গেটের তালা খুলে উপরে যাওয়া সম্ভব। আবাসনটি যে পাড়ায় অবস্থিত সেটি সাধারণত দুপুরে শুনসান থাকে। কারও বাড়িতে কেউ এল তা লক্ষ্য নাও পড়তে পারে। আবাসনের উল্টো দিকে রয়েছে একটি দোকান। সেটা দুপুর বারোট পর্যন্ত খোলা থাকে। আবার বিকেলে খোলা হয়। ঘটনাচক্রে খুনের দিন দোকানটি সারাদিনই খোলা হয়নি। ফলে মনে করা হচ্ছে যে বা যারা খুনের সঙ্গে জড়িত তাদের কাছে ওইসব তথ্য ছিল।


করোনা পরিস্থিতিতে সুস্মিতার মোবাইল ফোনটি পড়াশোনার জন্য ব্যবহার করতে তার ছেলে তমোজিৎ। মেন গেটের চাবির পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে না ওই ফোনটিও। গতকাল বাড়ির কর্তা তপন মণ্ডলকে বেশ কিছুক্ষণ জেরা করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও শক্তিশালী সূত্র গোয়েন্দাদের হাতে আসেনি।